রংপুর ব্যুরোঃ দিন যত যাচ্ছে তিস্তা ভাঙ্গন আরও তীব্র আকার ধারন করছে।রংপুরে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের গতিবেগ প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে।তিস্তার ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে রংপুরের দুই উপজেলা কাউনিয়া ও
গঙ্গাচড়ার নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষের।আবার কখন ভেঙ্গে যায় তিস্তা নদীর পাড় এনিয়ে দুচিন্তায় গ্রামবাসি।এর কারনে গ্রামের মানুষরা পাহাড়া দিচ্ছে ভাঙ্গন স্থান। গঙ্গাচড়া উপজেলার কেলকেন্দ ইউনিয়নের গোডাউনের হাটের তিস্তা নদীর পাড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন।
এ ভাঙ্গন রোধে ইতিমধ্যে ব্লক ও ব্যাগ দিয়ে নির্মান করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।তবে গ্রামবাসির অভিযোগ,পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারা এই জিও ব্যাগে বালি ভর্তি না করে মাটি দিয়ে বস্তা প্যাকেট করে ভাঙ্গন স্থানে ফেলছেন। তবে স্থানীয়রা এই সব বস্তা ভাঙ্গন স্থানে ফেলতে দেইনি।এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে তা নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন।পরে আবার ্ধসঢ়;ওই স্থানে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করা ব্যবস্থা গ্রহন করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। রংপুরের কাউনিয়া গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের মানুষের কান্না বহুদিনের।এ কান্না তিস্তা পাড়ের মানুষের।
ইতোমধ্যে তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই পাঞ্জরভাঙ্গা,গ্রামের বেশকিছু বসতভিটা ও ১শ থেকে ১শ ২০ হেক্টর ফসলি জমি ও গাছপালাসহ চলাচলের রাস্তা। গদাই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মোঃহাফিজ উদ্দিন বলেন কয়েক দিনের ভাঙ্গনে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ফসলি জমির আবাদ নষ্ট হয়েছে।প্রতিদিন কিছু কিছু জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।রাতে বাড়ি ঘরে থাকতে অনেক ভয় হয়।কখন নদীর পাড় ভেঙ্গে যায়।গবাধি পুশু ও পরিবার নিয়ে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে।তিনি বলেন,বৃদ্ধ মা স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ে তার সংসারে।তিস্তা নদী বাড়ীর ১০ ফিটের মধ্যে এরই মধ্যে বাড়ি ও ঘরের জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে রাখছেন।
৩ শতাংশ জমি সেটুকু প্রায় নদী গর্বে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। সাইফুল ইসলাম জানান,তিস্তার নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন।বাড়িঘর ও জমির ফসল নদীতে ভাসছে।তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বায়ি করছেন।সরকার যা বরাদ্ধ দিয়েছে এসব জনপ্রতিনিধিদের পেটে গেছে। তিস্তা নদী ভাঙ্গনে অসহায় এলাকাবাসীর দাবী,ত্রাণ নয় নদীভাঙন থেকে তাদের বাপ-দাদার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল বাড়ি-ভিটা রক্ষা করা।স্থানীয়দের অভিযোগ,পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে কোনো লাভ হয়নি।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার গদাই, পাঞ্চরভাঙ্গা,আরাজী হরিশ্বর,চর হয়বৎ খাঁ সহ নদী তীরবর্তী গ্রামের হাজার হাজার পরিবার ভাঙ্গনের হুমকির মুখে।গত ১০দিন ধরে তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে পাঞ্জর ভাঙ্গা গ্রামের কয়েকটি বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি,বাঁশঝাড়, গাছপালা ও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে ইতিমধ্যে ভাঙ্গন এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর এর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীবসহকর্মকর্তারা।পরিদর্শন শেষে ভাঙ্গন কবলিত মানুষের জানান,ভয় পাওয়ার কিছু নেই।নদী ভাঙ্গন স্থানে ব্লক ও ব্যাগ দিয়ে রোধ করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপোরে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।তবে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নদী ভাঙ্গন দেখা যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড আগে থেকে সর্তক বাতা দিয়ে থাকে।এর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে কাজ করছেন। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান,১শ ৯০ মিটার পাড় টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ চলমান। ভাঙ্গন রোধ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।এর মধ্যে ভাঙ্গন রোধের জন্য উর্বধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জিও ব্যাগ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।বরাদ্ধ প্ধাসঢ়;ওয়া মাত্রই ভাঙ্গনের গতিপথ নিয়ন্ত্রনের কাজ করা হবে।
মন্তব্য ( ০)