কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক পদে যোগদান করেছেন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন।
তিনি তার আগে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপ-পরিচালক। মুন্সিগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সফল জনপ্রিয় সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জানাযায়, ডা. শেখ ফজলে রাব্বি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মরহুম শেখ মোহাম্মদ আবুল হোসেন। তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার রাজনীতিবিদ, তৎকালীন সাতক্ষীরা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন।
শেখ ফজলে রাব্বি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সাতক্ষীরাতেই শেষ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিএস সম্পন্ন করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৭তম বিসিএস মধ্যে দিয়ে সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। তখন থেকে কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীকালে বিভিন্ন হসপিটালের দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার জীবন অতিবাহিত করছেন। স্ত্রী রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। প্রথম সন্তান মেয়ে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)
থেকে কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা শেষ করে ঢাকা আহসান উল্লাহ ইউনির্ভাসিটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। অন্যদিকে ছেলে চট্রগ্রাম নাসিরাবাদ বয়েজ স্কুলে দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সারাদেশে বিশেষ ভাবমূর্তি অর্জন করেছে। এখানের সার্বিক কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। আমি চেষ্টা করব চলমান কাজগুলোকে দিকনির্দেশনা দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কুমেক হাসপাতাল বাংলাদেশে আরও উন্নতি করতে পারে সে চেষ্টা করে যাব। আমি কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি ডিজি মহোদয়ের প্রতি, তিনি কুমিল্লার সন্তান হওয়াই কুমেক হাসপাতাল প্রতি তাঁর একটু নজর থাকবে। ওনার সহযোগিতায় হাসপাতালের কার্যক্রম আরও তরান্বিত হবে।
তিনি আরও বলেন, পুরো হাসপাতালটি ঘুরে দেখেছি। প্রথমত হাসপাতালে সার্বিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবশ্যই আমাকে খেয়াল রাখতে হবে। রোগী বান্ধব হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলব। রোগীরা এসে বলতে পারে হাসপতালে এসে তারা ব্যবহার ও সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট। এনআইসিওর কাজ চলমান আছে এটা আমরা তরান্বিত করব। গাইনিতে একটা আইসিইউ হবে। ডায়ালাইসিস এর কাজটুকুও শেষ করব। কুমিল্লা বাসীর সেবা নিশ্চিত করা ও সারা বাংলাদেশে একটি মডেল হাসপাতালে উপস্থাপন করার লক্ষে কাজ করে যাব। হাসপাতালটিতে কিভাবে দালাল মুক্ত করা সে লক্ষে প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা নিব। আর যারা রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ আছে তারা একটি সময় ব্যতিত হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেনা।
উল্লেখ্য, ডাঃ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ২২ নভেম্বর ২০২২ ইং (মঙ্গলবার) পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন এবং তিনি মার্চ মাসে ২০২৪ সালে বিদায় নেন। ডাঃ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী ১৫তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের মধ্যে দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি চট্রগ্রামের সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার গিলাতলী গ্রামের মোঃ আনোয়ারুল আজীম সিদ্দিকী ও কাজী খাদিজা বেগমের কৃতি সন্তান।
মন্তব্য ( ০)