• অপরাধ ও দুর্নীতি

দোকান থেকে চুরির ৬৭টি মোবাইল ও ৪ ট্যাব উদ্ধার, আটক ৫ চোর

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ২০:১০:৩৭

ছবিঃ সিএনআই

সুনামগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে পুলিশের অভিযানে একটি দোকান থেকে চুরি হওয়া ৬৭টি মোবাইল ফোন ও ৪টি ট্যাব উদ্ধার করা হয়েছে। চুরির সাথে জড়িত থাকায় মোবাইল চোর চক্রের ৫ সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার জালালপুর গ্রামের ছামিন উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৩), দোয়ারাবাজার থানার সোনাপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে এমরান আহমদ (৩১, সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার মছকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম ছেলে জাকের আহমদ ওরফে রাজু (৩৩), হবিগঞ্জের আজমীরিগঞ্জ থানার শিবপাশা গ্রামের মুহিবুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) এবং মৃত নানু মিয়ার ছেলে মোজাক্কির মিয়া (৩২)। 

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি)  সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া)  রাজন কুমার দাসের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুভাশিষ ধরের নেতৃত্বে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামিদের নিকট হতে ৬৭টি মোবাইল ও ৪টি ট্যাব উদ্ধার করা হয়। গতকাল বুধবার (৩ জানুয়ারি ) বিকাল ৪টার দিকে জগন্নাথপুর বাজারের পৌর পয়েন্টস্থ মোবাইল মার্কেটের বহুরূপী টেলিকম দোকানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আসামিগণ মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসার আড়ালে পরস্পরের সহযোগীতায় দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল। মোবাইল চোর চক্রের সদস্যরা কয়েক ধাপে কাজটি করে। তাদের একটি টিম শুধু মোবাইল ফোন চুরির কাজটি করে। তারপর একটি টিম এসব চোরাই মোবাইল সংগ্রহ করে মোবাইল সার্ভিসিং দোকানের অসাধু ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করে।  তারপর ঐসব অসাধু ব্যবসায়ী চোরাই ফোনগুলো সচল অবস্থায় বা যন্ত্রাংশ খুলে তা নিজে বা অন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিক্রি করেন। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিগণের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। আসামিদেরকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল একটি টেলিকম দোকানে চুরির মোবাইল ক্রয় বিক্রয় করা হয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬৭ টি মোবাইল ফোন ও ৪ টি ট্যাবের কোনো মালিক কিংবা কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো বিভিন্ন ভাবে চুরি করে আনা মোবাইল ফোন ও ট্যাব। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo