ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া—৪ (আখাউড়া—কসবা) আসনের আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, এই বিএনপি—জামাত দেশটাকে ধ্বংস করতে চাই। তারা আবার ১৯৭১ সালে ফিরে যেতে চাই। তারা পাকিস্তানের আর্মির যে ট্রেনিং পাইছে মানুষ হত্যা করার, সেই ট্রেনিংয়ে গিয়ে আপনাদের হত্যা করতে চাই। এই পথে আমরা আর হাটব না। আপনাদের কাছে একটায় আবদার আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটটা দিবেন। এতে পৃথিবীর জনগণ বুঝবে যে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র কি জানে।
বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চাই। আর বাংলাদেশের মানুষ আখাউড়া ও কসবার মানুষ আনিসুল হককে ভালোবাসে। এইটা আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে। বৃহস্পতিবার(৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুরে দক্ষিণ ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’র আয়োজনে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’র চেয়ারম্যান মো. মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন, আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’র সদস্য সচিব অহিদ ভূইয়া, দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল।
মন্ত্রী বলেন, সব নির্বাচনেই বিএনপি জামাত একটা উছিলা খোঁজে কিভাবে নির্বাচন না করা যায় এই চেষ্টা করে। ২০১৪ সালের অবরোধ বিনা দোষে নিরীহ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে হত্যা করে দিল। ২০১৮ সালে করল মনোনয়ন বাণিজ্য। ২০২৩ সালে এসেও ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়ে নিষ্পাপ ৩ বছরের শিশুকে মায়ে কোলে মা ও শিশুকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিলেন। উনাদের মায়া দয়াও নাই। এমন রাজনৈতিক দলের কাছে বাংলাদেশের জনগণ নিরাপদ নয়। এমন রাজনৈতিক দলের কাছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর বাংলাদেশের কোন উন্নয়ন হয় নাই।
উন্নয়ন হইছে ভিক্ষার বাক্সটা বাড়তে বাড়তে এত বড় হয়েছে। আর এই ভিক্ষা নিয়ে তারা সাড়ে ১৫ আনা খাইত। আর যে আটানা বাকি থাকত আমাদের উন্নয়নের কাজে নামে বিলায়া দিত। আর তাদের হতো পকেট ভারী। একজন মন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেনারেল আর তারপর হয়ে গেল প্রেসিডেন্ট। আর দেশটা লুটপাট করল।
বঙ্গবন্ধু কন্যা এই লুটপাটে বাধা দিয়েছে প্রথম। বঙ্গবন্ধু কন্যাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে দিয়েছেন। আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, আপনাদের বুঝাইতে হবে সারা বিশ্বকে যে আমাকে আপনারা ভালোবাসেন। আমাদের সর্ম্পক ভালোবাসার সম্পর্ক। আপনারা আমাকে ভালোবাসেন, আমিও আপনাদের ভালোবাসি। ভোট আমাকে দিতেই হবে। আমি দাবি করব, আপনারা দিবেন। এটাই হচ্ছে আমার সাথে আপনাদের সম্পর্ক।
মন্তব্য ( ০)