• রাজনীতি

চুয়াডাঙ্গা ১ আসনে জনপ্রিয়তা বাড়াতে ব্যস্ত প্রার্থীরা

  • রাজনীতি
  • ০১ জানুয়ারী, ২০২৪ ১৯:২৬:০০

ছবিঃ সিএনআই

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা ১ সংসদীয়  আসনে বইছে নির্বাচনী ভোটের হাওয়া। জনপ্রিয়তা বাড়াতে গামে গঞ্জে নিজেদের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত এখন প্রার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী ডামাডোল।নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানা রকম প্রতিশ্রতি বলছেন  উন্নয়নের কথা। সেই সাথে প্রচার প্রচারনা ও পথসভা,  গনসংযোগ এবং উঠান বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনাব সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও সতন্ত্র প্রার্থী মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবু দিলীপ কুমার আগর ওয়ালা।

এই তিন প্রার্থীর প্রচার প্রচারনাই এখন চোখে পড়ার মতো। সুষ্ঠ ও অবাধ পরিবেশের মধ্যদিয়ে ভোট দিতে চাই এলাকার সাধারন মানুষ। চুয়াডাঙ্গা ১ আসনে এবার ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন হেভিওয়েট ও সতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট  ৬  জন প্রার্থী। এদের মধ্যে তিনবারের এমপি চুয়াডাঙ্গা  জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (নৌকা প্রতীক) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরী (আম প্রতীক) হেভিওয়েট  সতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা (ঈগল প্রতীক),  এম এ রাজ্জাক খান  (ফ্রিজ প্রতীক) নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রচার প্রচারনা ও গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন । 

তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাড. সোহরাব হোসেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকলেও  হঠাৎ করে তিনি নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন।  তিনি জানান দলীয় সিদ্ধান্তহীনতা ও চরম অসহযোগিতা এবং একদলীয় নির্বাচনের  কারনে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। চুয়াডাঙ্গার ১ আসনের নির্বাচনী এলাকার  সাধারন ভোটাররা জানান যদি অবাধ ও সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে এবার ভোটের মাঠে নৌকার প্রার্থীর সাথে আওয়ামীলীগের সতন্ত্র প্রার্থীর তুমুল প্রতিযোগিতা হবে। চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের নৌকার প্রার্থী জনাব সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন  জানান নির্বাচনী এই এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এই এলাকার সাধারন ভোটাররা আবারও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

গ্রাম এখন শহর হতে বাকি নাই। চুয়াডাঙ্গায় সব ধরনের উন্নয়ন হয়েছে। এখনও চলমান রয়েছে উন্নয়নের কাজ। তিনি আরও জানান চুয়াডাঙ্গার ৭৫ শতাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। কৃষিই এলাকার মানুষের সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে। কৃষি জমিতে স্থায়ীভাবে সেচ দেওয়ার জন্য তিনি নির্বাচিত হলে আবারও নদী পূর্ন খনন করে পানি ধরে রাখতে স্থায়ীভাবে রাবার ড্যাম্প স্থাপন করবেন বলে জানান।এবং আলমডাঙ্গার কুমারীতে ভেটেনারী কলেজ স্থাপনের কথা জানান তিনি। এদিকে নৌকার প্রচারনায় নির্বাচনী মাঠে  কাজ করছেন এই এলাকার প্রবীন নেতৃবন্দরাও। তারা লিপলেট বিতরন করে নৌকার জন্য ভোট চাইছেন সাধারন মানুষের দৌড়গোরায়।

চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের  সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা জানান যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে নৌকা মার্কার বিজয় হবে সুনিশ্চিত। অপরদিকে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে এবং নৌকাকে  বিজয়ী করতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি নৌকায় ভোটদানের আহবান জানান সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন । বক্তব্যে তিনি বলেন সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গার রাজনীতি একটি প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামীলীগের একটি প্রতিষ্ঠান। বহু নেতাকর্মীর তার হাত ধরে এখন  সফল নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তার মতো রাজনীতিবিদ চুয়াডাঙ্গা বাসীর জন্য একান্ত প্রয়োজন বলে জানান তিনি। এসময় তিনি  সকল নেতাকর্মীকে নৌকার পক্ষে ভোট করার জন্য আহবান জানান এ আসনে সতন্ত্র প্রার্থী ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা জানান কয়েকটি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে ২৬ টি অভিযোগ দিয়েছি যদি সুষ্ট ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে আমার ঈগল প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে। আমি পাবো জনগনের ভালোবাসার ভোট।

আমি নির্বাচিত হলে কোন ব্যবসায়ী হয়রানির শিকার হবেনা, কৃষি সমৃদ্ধ এই এলাকায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করবো  এবং এই এলাকার সবরকম উন্নয়ন হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের উন্নয়ন। তিনি আরও বলেন আমার জন্য যদি এ আসনে ৮০ ভাগ ভোট পুল হয় তাহলে আমি মনে করবো দিলীপ কুমার সফল হয়েছে। আমি জনগনকে আশ্বস্ত করেছি এবার আপানারা স্বাচ্ছন্দ্যে নিরপেক্ষ পরিবেশে আপনারা ভোট দিতে পারবেন।

 এদিকে সতন্ত্র প্রার্থী মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান প্রতিনিয়নত এ আসনের আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারন মানুষের  সাথে পথসভা ও উঠান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি জানান চুয়াডাঙ্গা ১ আসনে যদি আমি নির্বাচিত হয় তাহলে শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের জন্য শিল্প কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবো।

রাস্তা ঘাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আধুনিকরন ও স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক উন্নয়নের  ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। তার নির্বাচনী প্রচার  প্রচারনায় নতুনভাবে চমক সৃষ্টি করেছেন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু।  তিনি জানান এবার ভোটে আমরা একজন ভালো মানুষ পেয়েছি। তিনি ভদ্র ও নামাজী এবং বিপদে আপদে সাধারন মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন এজন্য আমার কর্মী সমর্থকদেরকে আমি এই ভালো মানুষটিকে ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়ে আসছি। তিনি নির্বাচিত হলে এই চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন। এদিকে এনপিপি( ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী ইদ্রিস আলী আম প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে জনগনের আলোচনা ও সমালোচনায় আছেন।

নির্বাচনী মাঠে সবরকম নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য অতিরিক্ত  পুলিশ ও বিজিবির টহল অব্যাহত আছে। ২০০৮ সালে বিএনপি সরকারের পরাজয়ের পর থেকে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের ক্ষমতা পায় টানা তিন বারের নির্বাচিত  আওয়ামীলীগ সরকার। চুয়াডাঙ্গার সদর, আলমডাঙ্গা  নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা ২ আসন। এ আসনে পুরুষ ও নারী মিলে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৯ জন পুরুষ ভোটার ২লক্ষ ৪১ হাজার ৬৮০ জন। এবং নারী ভোটার রয়েছে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৭০৫ জন। এবং হিজরা ভোটার রয়েছে ৪ জন।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo