• অপরাধ ও দুর্নীতি

দেড় বছরে ৪৮ টি গরু চুরি, সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৫ জন গ্রেফতার

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:০২:৩৫

ছবিঃ সিএনআই

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টানা ৪৮ ঘন্টার বিশেষ অভিযানে ৫ গরু চোর গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের উপজেলার বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে জলঢাকা থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বগুলাগাড়ী 

পশ্চিম পাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৩), বগুলাগাড়ী বারঘড়িয়া পাড়া ধারাবেচাটারী এলাকার মৃত বাবুল হোসেনের ছেলে ছাদেকুল ইসলাম (২৩), কদমতলী হাজীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে উমর ফারুক (২৫),  বগুলাগাড়ীর মাঝাপাড়া এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৫), পূর্ব কাঠালী ক্যানেলের পাড়াশ্রী মুকুল চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী শংকর চন্দ্র রায় (১৯)। 

বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের কথা জানান পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম সেবা। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২১ সেপ্টেম্বর জলঢাকার বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালনগ্রাম বটতলী এলাকার কমলকান্তী রায়ের বাড়ী থেকে ৬ টি গরু চুরি হয়। এরই প্রেক্ষিতে জলঢাকা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই জলঢাকা থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৪৮ ঘন্টায় টানা অভিযান পরিচালনা করে পাঁচ গরু চোরকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা উক্ত চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে। আসামী তরিকুল, শংকর এবং ছাদেকুল জানায় যে, তারা প্রথমে জলঢাকা থানা এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির সুপারি বাগান থেকে সুপারি চুরি করে জলঢাকা বাজারে এক ব্যক্তির দোকানে বিক্রি করত।

সেই বাজারে তাদের সাথে আসামী উমর ফারুক, রাজ্জাকের সাথে পরিচয় হয়। পরে তারা একত্রিত হয়ে জলঢাকা থানার বিভিন্ন এলাকা হতে দিনের বেলা ছাগল চুরি করে আসামী তরিকুলের ভ্যানে করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করতো। এভাবে তারা প্রায় 

৪০ থেকে ৫০ টি ছাগল চুরি করে। ধীরে ধীরে তাদের সাথে আরো কিছু চোরের পরিচয় হয়  এবং তারা গরু চুরি করার পরিকল্পনা করে। আসামী শংকরের মামার বাড়ী বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালনগ্রাম এলাকায় হওয়ায় সে সহযোগী আসামী ছাদেকুল সহ ভ্যানে করে তার মামার বাড়ী থেকে আশপাশ এলাকায় কোন বাড়ীতে গরু আছে এটির সন্ধান করত এবং সহযোগী অন্যান্য আসামী সহ সেই বাড়ী গুলোতে গরু চুরির পরিকল্পনা করে। 

পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, পরিকল্পনা মাফিক তারা গত দেড় বছরে সাইডনালা, শালনগ্রাম, বারোগোপাল এলাকায় মোট ৪৮ টি গরু চুরি করে। আসামী তরিকুল, শংকর, ছাদেকুল, রাজ্জাক জানায় তাদের আরো কয়েকজন সহযোগী সহ তারা বিভিন্ন বাড়ী থেকে গরু বাহির করে নির্জন স্থানে অপেক্ষা করত।

আসামী তরিকুল মোবাইল ফোনে আসামী উমর ফারুককে কল দিয়ে ডাকলে উমর ফারুক মিনি ট্রাক নিয়া কাছাকাছি রাস্তায় আসা মাত্রই তারা সকলে মিলে চোরাই গরু গুলো ট্রাকে তুলে দিতো। এভাবে তারা বিভিন্ন রোড দিয়ে চোরাই গরু দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিল। তিনি আরও বলেন, আসামীদের দেয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই বাছাই পূর্বক গরু ও গরু পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক উদ্ধার সহ অন্যান্য আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যহত আছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo