• সমগ্র বাংলা

দুই এতিম মেয়ের ঠাঁই হলো বাবার বাড়িতে 

  • সমগ্র বাংলা
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:৪২:৪৮

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায়ের হস্তক্ষেপে বাবার বাড়িতে ঠাঁই হলো দুই এতিম মেয়ের। বুধবার(২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেবীচরণ গ্রামে ঘটনার নিস্পত্তি করেন এ ইউএনও। এসেই মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। 

অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের রেখা বেগম (২০) ও রেবেকা আক্তার আইভি (১৫) এর বাবা একরামুল হক গত ৯ বছর আগে মারা যায়। কিছু দিন পর তাদের মা আফরোজা বেগম ও দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। এতিম হয়ে পড়েন দু’বোন। বাবার মৃত্যুর ৪ বছর পর বড় বোনের বিয়ে হয়। ছোট বোন রেবেকা চাচার বাড়িতে থাকলেও তাদের নির্যাতনে একদিন পালিয়ে যায় তার নানার বাড়ি একই উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার পাঠক গ্রামে। নানার বাড়িতেই রেবেকার বিয়ে হয় গত ৩মাস আগে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালীর মেলার চতুরা গ্রামে। বিয়ের পর তিস্তা নদীর করালগ্রাসে ভেঙে যায় স্বামীর বাড়ি। নিরুপায় হয়ে অন্যের জায়গা দু-বছরের জন্য বসবাস শুরু করেন রেবেকা। গত ১ সেপ্টেম্বর’২৩ স্বামী ও বোনের পরামর্শে বাবার বাড়িতে চলে আসে দু’বোন। কিন্তু তার চাচা ইয়াকুব আলী, আইয়ুব আলী সহ তার চাচাতো ভাই বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি তাদেরকে। পরে অন্যের বাড়িতে থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও থানার শরণাপন্ন হয় দু’বোন।

রাজারহাট থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনা স্থলে গিয়ে এতিম মেয়ে দুটিকে তার বাবার বাড়িতে তুলে দিতে পারে নি। অবশেষে ১৯ সেপ্টেম্বর ইউএনও ও সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় প্রেসক্লাব রাজারহাটের সভাপতি সেকেন্দার আলী বাবলু ঘটনাটি উপস্থাপন করেন। নবাগত রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বুধবার(২০সেপ্টেম্বর) সকালে উভয় পক্ষকে তার কার্যালয়ে নোটিশ দিয়ে উপস্থিত হওয়ার আহবান জানান। ওই সময় এতিম দু’বোন, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাব সভাপতি উপস্থিত হলেও প্রভাবশালীএতিমের চাচা গণ উপস্থিত হননি।

ফলে বুধবার বিকেলে রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী, ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম মন্ডল সাবু, নবাগত ইউএনও কাবেরী রায়, ওসি আব্দুল্লাহিল জামান ঘটনা স্থলে গিয়ে এতিম দু’বোনকে তার বাবার বাড়িতে তুলে দেন। এ সময় উপজেলা পরিষদ থেকে তাদের জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এতিম রেবেকা বেগম এ প্রতিনিধিকে বলেন, ১৯ দিন ধরে অন্যের বাড়িতে খুবেই কষ্টে ছিলাম, আজ বাবার বাড়িতে প্রশাসনের মাধ্যমে ঢুকতে পেরে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ জানাই নতুন ইউএনও ম্যাডাামকে। সেই সাথে যারা এসে আমাদের দু’বোনকে এত বড় সহযোগীতা করলো তাদেরকেও কোন দিন ভূলতে পারবো না।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায় বলেন, সাংবাদিক গণের সাথে মতবিনিময় সভায় বিষয়টি অবগত হয়ে আজ সকলে মিলে এতিম দু’বোনকে তার বাবার বাড়িতে তুলে দিতে পেরেছি। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo