• অর্থনীতি

আবারও শেয়ারবাজারে বিমার ঝলক

  • অর্থনীতি
  • ১১ জুলাই, ২০২৩ ১৬:৪২:৩১

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে গত মে মাসে বড় ধরনের দাপট দেখায় বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম ৫০ শতাংশের ওপরে বেড়ে যায়। তবে প্রায় একমাস শেয়ারবাজার থেকে কিছুটা আড়ালে চলে যায় বিমা খাত। শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিমা খাতের যেমন আধিপত্য ছিল না, তেমনি এ খাতের কোম্পানিগুলোর লেনদেনও সীমিত হয়ে আসে।

প্রায় একমাসের বিরতি দিয়ে ফের দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১১ জুলাই) তালিকাভুক্ত সিংহভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। এতে মূল্যসূচকও সামান্য বেড়েছে। তবে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার চেয়ে দাম কমার তালিকা বড় হয়েছে।

দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। আর দুই বাজারেই প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও কমেছে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের ১০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু অল্পসময়ের মধ্যেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। এতে লেনদেনের ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট কমে যায়।

তবে প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওযার পর শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখাতে থাকে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। দাম কমার তালিকা থেকে একের পর এক বিমা কোম্পানি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান হয় ৪০টি বিমা কোম্পানি। বিপরীতে দাম কমার তালিস্থায় স্থান করে নেয় ৭টি বিমা কোম্পানি।

বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়লেও অন্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো বিপরীত পথে হেঁটেছে। এতে সব খাত মিলিয়ে ডিএসইতে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৩টির। আর ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৩২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ১৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বিমায় ভর করে প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৪৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৮৪ কোটি তিন লাখ টাকা। সেই হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

ঢাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৬০ কোটি ৫৫ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৭ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লুব রেফ বাংলাদেশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফু-ওয়াং সিরামিক, জেনারেশন নেক্সট, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এবং খান ব্রাদার পিপি ওভেন ব্যাগ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে দশমিক ৬২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮২টির এবং ৭৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo