• অর্থনীতি

আবারও লাগামহীন কাঁচা মরিচের বাজার

  • অর্থনীতি
  • ০৮ জুলাই, ২০২৩ ১৭:৪৮:৩৯

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ গতকাল (শুক্রবার) ঢাকার অধিকাংশ বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছিল। শনিবার দাম আবারও বেড়েছে। খুচরায় ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম পড়ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। এককেজি নিলে বিক্রেতারা ৪০০ টাকা রাখার কথা বলছেন।

পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে শুক্রবার প্রতি কেজি মচির ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। শনিবার আরও ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩২০ টাকা। কারওয়ান বাজারে শুক্রবার দিনগত রাত থেকে মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ১৬০০ টাকা দরে। যা একদিনের ব্যবধানে ৫০০ টাকা বেড়েছে।

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কাঁচা মরিচের দর কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তা কমে রোববার ২০০ টাকায় নেমেছিল। এরপর সে নিম্নমুখী দাম স্থির ছিল মাত্র একদিন। পরের দিন আবারও বেড়ে ৪০০ টাকায় ওঠে। এরপর সবচেয়ে কমেছিল গতকাল শুক্রবার। অন্যান্য দিন খুচরায় কাঁচা মরিচ কিনতে ৪০০ টাকার বেশি দিতে হয়েছে। শুক্রবারে সেটা ৩০০ হয়েছিল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়া ও দেশে সরবরাহ না বাড়ায় নতুন করে দাম বেড়েছে। অবশ্য স্থলবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বাজারে দাম বাড়ার পর ব্যবসায়ীরা গতকাল আবার আমদানি শুরু করেছেন। বৃষ্টি কিছুটা কমায় দেশি মরিচের সরবরাহও আগের তুলনায় বেড়েছে।

সরেজমিনে ঢাকার খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের ভিন্ন ভিন্ন দাম দেখা যায়। রামপুরা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৪০ টাকা দরে। আগের দিন একই বাজারে একই সময়ে দর ছিল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা। আবার এরচেয়ে কম দাম ছিল বাড্ডার বাজারে। সেখানে মরিচ ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাড্ডা বাজারের বিক্রেতা ইউনুস আলী বলেন, আজ যারা মরিচ কিনেছে তারা বেশি বিক্রি করছে। কারণ পাইকারিতে বেড়েছে। আর যাদের মরিচ গতকালের, তারা কমেও বিক্রি করতে পারছে।

অন্যদিকে গুলশান ও বনানি কাঁচাবাজারে কাঁচা মরিচ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারের আড়তদার আব্দুল বাছেদ মোল্লা বলেন, একদিন আগেই কাঁচা মরিচের দাম বেশ কম ছিল। সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, কাঁচামালের দাম চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। আমদানি এখনো কম। ভারত থেকে গতকাল যত মরিচ এসেছিল, আজ তত অসেনি। তাই দাম বেড়েছে।

দেশীয় চাষের কাঁচা মরিচেই চাহিদা মেটে। তবে বর্ষায় মরিচের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অথবা বৃষ্টি একেবারে কম হলে উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যায়। আবার এ বছর প্রচণ্ড খরার কারণেও মরিচ ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এবার ঈদুল আজহার আগে গত ২৫ জুন সরকার কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু করে। তবে আমদানির প্রক্রিয়া করতে করতে ২৭ জুন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যায়।

ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। ফলে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়। ঈদের পর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে অভিযানে নামে। ভারত থেকে আমদানি বাড়ে। এরপর দাম কিছুটা কমলেও ক্রেতার নাগালের মধ্যে অসেনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo