পাবনায় রাতের আধারে ফসলী জমিতে পুকুর খনন

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাটি ব্যবসায়ী টুটুল ফসলী জমিতে ভেকু দিয়ে দিনে ও রাতের আধারে নির্বিচারে অনুমোদন বিহীন পুকুর খনন করে মাটি বিক্রিয় করছেন। তিনি ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলী জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছেন। এতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছে কৃষিসংশ্লিষ্ট সচেতন মহল।উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের দুধবাড়িয়া- বড়পুকুরিয়া গ্রামে ফসলী জমিতে দিনে রাতে এ পুকুর খননের কাজ চলছে । মাটি ব্যবসায়ী ঠিকাদার টুটুলের দাবী, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, ভুমি অফিসের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তিনি ফসলী জমিতে মাটি কাটছেন ও তা বিক্রয় করছেন।

তবে এলাকাবাসীর দাবি, ফসলী জমিতে অনুমোদন বিহীন পুকুর খনন বন্ধ হওয়া দরকার। সরেজমনি দুধবাড়িয়া-বড়পুকুরিয়া এলাকায় দেখা গেছে ওই গ্রামের মৃত গোলাপ হাজীর ছেলে আদম আলী তার আবাদী প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে ভেকু  দিয়ে পুকুর খনন করছেন। ভেকু চালক জানান, এলাকার মাটি ব্যবসায়ী টুটুল তাদেরকে ঘন্টা চুক্তিতে নিয়ে এসেছেন। জমি খননের অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। গত সপ্তাহ খানেক ধরে তারা ফসলী জমিতে ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর করে খনন করে ড্রাম ট্রাক যোগে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রিয় করছেন।

এতে অনুমোদন না নিয়েই ফসলী জমিতে পুকুর খনন এক দিকে সরকারের ভুমি সংরক্ষণ আইনকে যেমন বৃদ্ধাগুলি দেখানো হচ্ছে অন্যদিকে ফসলী জমি সংকুচিত হচ্ছে দিন দিন। তবে মাটি ব্যবসায়ী টুটুল দাবী করেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশসহ সকলের সাথে কথা বলেই তিনি ফসলী জমিতে মাটি কেটে বিক্রিয় করেছেন। তবে লিখিত কোন অনুমোদন পত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এলাকাবাসীর দাবি, ফসলী জমিতে অনুমোদন বিহীন পুকুর খনন বন্ধ করে ফসলী জমি গুলি রক্ষা করা দরকার। জমির মালিক আদম আলী ফসলী জমিতে মাটি কাটা হচ্ছে স্বীকার করে বলেন, অনুমোদনের বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী টুটুল বলতে পারবেন।

অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।এ ব্যপারে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ফসলী জমিতে মাটি কাটার বিষয়ে তার জানা নেই। ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ফসলী জমিতে অনুমোদন বিহীন মাটি কেটে পুকুর খনন করার বিধান নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।