• বিশেষ প্রতিবেদন

গ্রামীণ সংস্কৃতির ছোঁয়াতে বগুড়ায় ব্যতিক্রমী পৌষ মেলার আয়োজন

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:১৮:৫৩

ছবিঃ সিএনআই

সঞ্জু রায়, বগুড়া: যুগের পালাবদলে আধুনিক হয়েছে দৈনন্দিন জীবনের সবকিছু। যান্ত্রিক জীবনে আবদ্ধ হয়ে শহরের সবাই প্রায় ভুলতে বসেছে গ্রামীণ সংস্কৃতির নানা ঐতিহ্যকে যা সকলের কাছেই যেন সোনালী অতীত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এরই মাঝে গ্রামীণ সংস্কৃতির ছোঁয়াতে শহরের যান্ত্রিকতাকে দূরে রেখে বগুড়ায় এক ঝাঁক নারী উদ্যোক্তা আয়োজন করেছে ৩দিন ব্যাপী ব্যতিক্রমী পৌষমেলার যা শোভা ছড়াচ্ছে শহরের সকলের মাঝেই।


নারীদের নিয়ে এ পৌষ মেলাটির আয়োজন করে লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশন, রেসকিউ আওয়ার পিপল এভার (রোপ) ও নারীই শক্তি। রবিবার বিকেলে শহরের রোচাস রেস্টুরেন্টের হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নারী পুরুষের সমভূমিকা ছাড়া একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়। এসডিজি গোল বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সেখানে নারী উদ্যোক্তাদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। পৌষ মেলার মাধ্যমে বগুড়ায় গ্রামীণ সংস্কৃতির যে চিত্র ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে তা আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে দেখাতে হবে তাহলেও তাদের মধ্যে দেশ ও এদেশের মাটির প্রতি ইতিবাচক অনুভব কাজ করবে। ইউএনও সমর পাল এই ধরণের ইতিবাচক সকল কর্মকান্ডে সর্বদা সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।


মেলায় ঘুরতে আসা শহরের জলেশ্বরীতলার বাসিন্দা এক গৃহিণীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, নগরায়নের কারণে আমরা গ্রামীন সংস্কৃতির অনেক কিছুই ভুলে যেতে বসেছি। সেখানে এই পৌষ মেলার আয়োজন সত্যিই ব্যতিক্রমী ও প্রশংসনীয়। আর এমন মেলায় পিঠাসহ বিভিন্ন দেশি সুস্বাদু খাবারের আইটেমও থাকে যা ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজন হওয়াতে তারাও বেশ মজা করেই স্বাদ নিতে পারছেন।


ছোট্ট পরিসরে হলেও এই মেলায় রয়েছে ১৭ টি স্টল যেখানে পিঠা-পুলি, ঝোলা গুড়, আমসত্ব, কালাইয়ের রুটি, নারীদের গহনা, সাজসজ্জার নানা সামগ্রী, হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্য, ঘর সাজানোর গ্রামীন নানা সামগ্রী সহ অসংখ্য পণ্য শোভা পেয়েছে। পণ্যগুলো নারী উদ্যোক্তারা যেমন নিজেদের আন্তরিকায় বিক্রির চেষ্টা করছেন তেমনি ক্রেতারাও কিনছেন যেখানে মজার বিষয় হলো প্রায় অধিকাংশ ক্রেতাই কিন্তু নারী।


মেলার আয়োজক নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা পারভীন শ্যামলী বলেন, আমরা যে সংস্কৃতি পেয়েছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তার অনেক কিছুই দেখেনি। কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে ব্যতিক্রমী কিছু করার তাই তারা সমন্বিতভাবে এরকম একটি আয়োজন করেছেন। তিনি বলেন, নিজেদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখার দায়িত্ব সকলের আর এই মেলার মাধ্যমে যেমন সংস্কৃতির বিকাশ হবে তেমনি নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন হবে।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo