• বিশেষ প্রতিবেদন

শেরপুরের গজনী অবকাশে চালু হলো ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবল কার ও জিপ লাইনিং

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৪১:৫৪

ছবিঃ সিএনআই

শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে অবস্থিত গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এরই আওতায় আরও বেশি পর্যটক টানতে গজনী অবকাশে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবল কার ও জিপ লাইনিং রাইড।

সরেজমিনে গেলে কথা হয় মেহেরপুর জেলা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নিলুফার ইয়াসমিন রূপার সাথে। তিনি জানান, গজনীতে এসে পাহাড়, বন ও লেক দেখলাম। সেইসাথে এখানকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের কাছ থেকে জানার সুযোগ পেলাম। আর এখন যোগ হয়েছে ক্যাবল কার ও জিপ লাইনিং। এত কাছ থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইতিহাস দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ। শিক্ষার্থী সীমা খাতুন জানান, দুপাশে পাহাড় আর নিচে লেকের উপর ঝুলন্ত ব্রিজে উঠে বেশ আনন্দ পেয়েছি। একই কথা জানান পার্শ্ববর্তী রাজীবপুর থেকে আসা আব্দুল খালেক, সাদ্দাম হোসেন, জামালপুরের হাসান আলী, আব্দুল আহাদসহ বেশ কয়েকজন।

গজনী অবকাশের কাপড় ব্যবসায়ী মো. মাসুদ জানান, করোনা শেষ হওয়ার পর এখন পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। আমাদের নতুন ডিসি এসে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করছেন। বেশ কয়েকটি রাইড চালু হয়েছে। এগুলোর কারণে পর্যটক বাড়বে। আর পর্যটক বাড়লে আমাদের বিক্রি বাড়বে বলে আশা করি। একই কথা জানান খেলনা বিক্রেতা আব্দুস সামাদসহ বেশ কয়েকজন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্যবর্ধন ও ভ্রমণপিপাসুদের বিনোদনের জন্য প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই ৩টি রাইড নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে পাহাড়ের এক টিলা থেকে অপর টিলায় যাতায়াতের জন্য ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবল কারে উঠে পাহাড় ও লেকের সৌন্দর্য উপভোগ এবং দৃষ্টিনন্দন ১নং লেকের উপর দিয়ে জিপ লাইনিং করতে পারবেন পর্যটকরা।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশিদ বলেন, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে অবস্থিত গজনী অবকাশ কেন্দ্রটি করোনার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে করোনার থাবা কাটিয়ে উঠায় গজনীতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়াতে এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই আওতায় দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবল কার ও জিপ লাইনিং চালু করা হয়েছে। আজ থেকে রাইডগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। এগুলোর মাধ্যমে শেরপুরের পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ হবে এবং পর্যটকদের আগমনও বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। এছাড়া এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য একটি কালচারাল সেন্টার গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেইসাথে রাংটিয়া এলাকায় পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য একটি হোটেল নির্মাণ করা হবে। গজনীর লেকে

কটেজ, ফিশিং ও কায়াকিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে, এগুলোর প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা বাড়াতে ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন মহলে টুরিস্ট পুলিশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আপাতত আমরা স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo