• বিশেষ প্রতিবেদন

পাবনায় সরিষার ফুলে ফুলে কৃষকের হাসি

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:৩৯:৪৭

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষি বিপ্লব ঘটেছে। এ সকল বিলে নিচু জমি ইরি-বোরো ধানের আবাদ শেষে প্রায় দুই মাস পতিত পড়ে থাকতো। বর্তমানে অধিকাংশ কৃষক জমি পতিত না রেখে বাড়তি ফসল হিসেবে উচ্চ ফলনশীল সরিষার চাষ করছেন। আবাদও হচ্ছে ভাল। ফলে সরিষা চাষ করে উদ্বৃত্ত অর্থ উপার্জন করায় বোরো চাষের খরচ উঠেও উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে কৃষকদের। বিলের বিপুল পরিমান জমিতে সরিষার ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এলাকায় ভোজ্য তেলের আমদানী নির্ভরতাও কমেছে। চলতি মৌসুমে সরিষার হলুদ ফুলে ফুলে একাকার হয়ে গেছে।

সরজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে দেবোত্তর, একদন্ত, লক্ষীপুর, চাঁদভা, মাজপাড়া ও আটঘরিয়া পৌর এলাকায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৫শ ৬০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশিল সরিষা চাষ হচ্ছে। গত বছর সরিষা আবাদ হয়েছিল ২ হাজার ৫শ ২০ হেক্টর জমিতে। তবে এ মৌসুমে ৪০ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা আবাদ করছেন কৃষকেরা। সরিষা খেত গুলো হলুদ ফুলে ফুলে একাকার হয়ে গেছে। বিল এলাকার কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করেছে সরকার।

কৃষকরা আশা করছেন, এবার বাম্পার ফলন হবে। পোকা মাকড়ের আক্রমন রোধে কৃষকদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকা গুলোর কৃষি অফিসের কর্মকর্তারাও সজাগ থাকায় অতি দ্রুত তা রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

আটঘরিয়া উপজেলার হিদাসকোল গ্রামের মোঃ ফরিদ হোসেন জানান, তিনি চলতি মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৭ মন হারে ফলন পাওয়া যায়। এবার মৌসুমের শুরুতেই সরিষার খেতে পোকার আক্রমন দিয়ে ছিল। তবে তা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ এলাকার কেউ জমি চাষ করে সরিষা বপন করেন আবার কেউ কেউ বিনা চাষে পতিত জমিতে বীজ ছিটিয়ে সরিষা আবাদ করেন। একই এলাকার কৃষক মুকুল হোসেন ও আরিফুজ্জামান জানান, বিল থেকে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষকেরা সে জমিতে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৭ মন হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। পনেরো-

বিশ বছর যাবত এভাবে সরিষা চাষ করে কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। কৃষক আরিফ জানান, দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষে ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয় এবং প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা লাভ থাকে। আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান, এই উপজেলার একটি পৌরসভার ও পাঁচটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫শ ৬০ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা চাষ হচ্ছে। কৃষকেরা বারী-১৪, ১৭, বিনা-১০, টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করছেন। হেক্টর প্রতি গড় ফলন পাওয়া যায় ১.২ (এক দশমিক দুই) টন। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া সরিষা চাষের অনুকূলে আছে। আশা করা যাচ্ছে ভাল ফলন পাওয়া যাবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo