• শিশু সংবাদ

অবশেষে বাবা-মাকে ফিরে পেল নিখোঁজ শিশু নিরব

  • শিশু সংবাদ
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৪৩:০৯

ছবিঃ সিএনআই

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ শিশু নিরব অবশেষে চারদিন পর বাবা-মার কোলে ফিরে গেছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড় সদর থানায় বাবা আজাদ খাঁ এর হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) বেনজীর আহমেদ, সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসূ বেগম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভবেশ চন্দ্র, বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট সোহাগ হায়দার, সময় টেলিভিশনের পঞ্চগড় প্রতিনিধি আব্দুর রহিম, চ্যানেল এস এর আব্দুর রউফ, সাংবাদিক মনজুর হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা শিশুটির ফুপা সোহাগ।

এর আগে, গত শনিবার (২১ আগস্ট) দিনগত রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের স্টেশন এলাকার সিএমবি রাস্তার সামনেথেকে স্থানীয় গালামাল ব্যবসায়ী মাসুদ শিশুটিকে পেয়ে স্থানীয় সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক আবদুর রহিমকে জানালে তিনার অসহযোগিতায় থানা পুলিশের হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়। সকালে বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট সোহাগ হায়দার খবর পেয়ে থানায় গিয়ে শিশুদের তথ্য নিয়ে খোজা শুরু করে। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রোববার (২২ আগস্ট) দুপুরে বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদী নূরের সহযোগিতায় শিশুটির বাবাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়। পরে সোমবার বিকেলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে থানা পুলিশের মাধ্যমে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়।শিশুটিকে হাতে তুলে দেয়া হলে ছেলেকে পেয়ে একসময় আনন্দের কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা আজাদ খাঁ।

ছেলেকে ফিরে পাওয়ার পর সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাবা আজাদ খাঁ বলেন, গত চারদিন ধরে নানা বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু নিরব। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে বাংলানিউজের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক এর মাধ্যমে ছেলের সন্ধান পাই। নিরব পঞ্চগড়ে সাংবাদিক সোহাগ হায়দার ও আব্দুর রহিম এর মাধ্যমে থানায় রয়েছে। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার সহযোগিতা করায় সাংবাদিকসহ পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ সদস্যদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা পিপএম বলেন, শিশুটিকে তার বাবা মা'র কোলে ফিরিয়ে দিতে সহযোগিতা করায় সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo