• অর্থনীতি

চলনবিলে সোনালী ধানের শিষে স্বপ্ন দুলছে কৃষকের

  • অর্থনীতি
  • ২০ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৪৮:৪০

ছবিঃ সিএনআই

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :মাঠের পর মাঠে সবুজের সমারোহ। সেই সবুজ মাঠে দেখা দিয়েছে ধানের শিষ। সবুজ আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করতে শুরু করেছে ধানের গাছগুলো। ধান গাছের সোনালী শিষে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে এলাকার কৃষক। বোরো চাষীরা বলছেন,ধানের চারা রোপন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূলে রয়েছে। রোগ বালাই ছিল কম। ধান কাটা ও মাড়াই পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে বোরোর খেত দেখে মনে হবে এ যেন আবহমান বাংলার চিরায়িত রুপ। দৃষ্টি সীমা ছাপিয়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের সোনালী শিষ। আর এ দোলায় লুকিয়ে রয়েছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন।

শস্যভান্ডার বলে খ্যাত.কৃষি প্রধান চলনবিল অঞ্চলে মাঠ ভরা বোরো ধান এখন সোনালী রং ধারণ করেছে। আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মহোৎসব। ধান কাটার শ্রমিক সংগ্রহ,ধান সংগ্রহের খোলা পরিস্কার পরিছন্ন,ধাান মাড়াই যন্ত্র মেরামতসহ জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তোলার নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই অঞ্চলের কৃষক। কৃষকের সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

চাটমোহর উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। তবে গত সপ্তাহের কালবৈশাখী ঝড়সহ শিলা বৃষ্টি ও সম্প্রতি পাকা ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি গরম হাওয়ায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আশানুরুপ ফলন পাবেন না। এদিকে ধান কাটার শুরুতেই লকডাউন শুরু হওয়ায় সঠিক সময়ে শ্রমিকদের নিয়ে ধান কাটতে পারবেন কিনা এমন শঙ্কাতেও দিন কাটছে কৃষকদের। হান্ডিয়াল ইউনিয়নের হাসুপুর গ্রামের কৃষক জহির আলী বলেন,প্রতিবছর অন্য এলাকা থেকে শ্রমিকরা এসে আমার ধান কেটে দিয়ে যান।

এবছরও সেই শ্রমিক দলের সাথে কথা বলেছি। তারা কীভাবে আসবে এটাই এখন বিষয়। ঝাকরা গ্রামের কৃষক আকতার হোসেন বলেন,আমি ২০ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। ধান কাটার আগ মুর্হতে লকডাউনের কারনে চিন্তায় আছি। বাইরের শ্রমিকরা ঠিক সময়ে আসতে না পারলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবো। ঠিক সময়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলে আমরা সবাই লাভবান হবো।

চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন মাঠে এবার ব্রি-২৮,২৯,৮১,৮৯,জিরাশাইল ও হাইব্রিড ধানের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে বেশী আবাদ হয়েছে ব্রি ধান ২৮। আগাম জাতের ধানের কাটা ও মাড়াই আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে।

কৃষকরা জানান,দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে। রয়েছে আগাম বন্যার আভাষ। গতবছর আগাম বন্যায় চাষীরা ক্সতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। তাই দ্রুত কাটতে হবে ধান। কৃষি বিভাগ অবশ্য বলেছেন শ্রুমক সংকট কাটাতে এবার ‘কম্বাইন হারভেস্টার’কৃষিযন্ত্র ব্যবহার করা হবে।

চলনবিলের চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুমবিল্লাহ বলেন,চলতি বছরে উপজেলায় ৯ হাজার ৪শ’ গেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।

এরমধ্যে হাইব্রিড ধান রয়েছে ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। চলমান লকডাউনে শ্রমিকদের চলাচলে কোন বাধা নেই। কাজেই কৃষক সঠিক সময়েই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo