নিউজ ডেস্ক : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় উঠে এসেছে বৈচিত্র্যময় তথ্য। রাজনীতিতে আলোচিত অনেক প্রার্থীর তেমন কোনো সম্পদ নেই। কিছু কিছু প্রার্থীর বিপুল সম্পদ রয়েছে। কোনো কোনো প্রার্থীর তুলনায় তাদের স্ত্রীদের সম্পদের পরিমাণ বেশি। আবার কয়েকজন প্রার্থী তাদের সম্পদের যে দাম দেখিয়েছেন, তা বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম। তবে এ নির্বাচনে প্রার্থীদের বড় অংশই উচ্চশিক্ষিত।
গত সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামায় প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, মামলার বিবরণ, পেশাসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমনকি প্রার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদেরও হিসাব জমা দিতে হয় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। ওই হলফনামার তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নিচে আলোচিত রাজনীতিকদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হলো-
সস্তা সম্পদের মালিক আরিফুল হক চৌধুরী: সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। হলফনামায় তিনি প্রায় সাড়ে ৮ একর জমির দাম দেখিয়েছেন মাত্র ২০ লাখ ১৫ হাজার ২৮২ টাকা। পাঁচ হাজার ৩৫ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্টের দাম দেখিয়েছেন ৩২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩০ টাকা। স্ত্রী সামা হক চৌধুরীর নামে আছে ১৯ হাজার ৫৯৩ বর্গফুট বাড়ি, যার দাম দেখানো হয়েছে পাঁচ কোটি ৬০ লাখ এক হাজার ২৬০ টাকা। ছয় কোটি ৮৬ লাখ ৪৪ লাখ ৮৮২ লাখ টাকার সম্পদের বর্তমান মূল্য দেখানো হয়ছে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৮২ টাকা। আর স্ত্রীর নামে থাকা পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকার সম্পদের বর্তমান মূল্য ছয় কোটি ৯৫ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকা দেখানো হয়েছে।
আরও দেখা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। ওই সময় তার বার্ষিক আয় ছিল সাত লাখ ৫৮ হাজার টাকা। ২০২৫ সালে এসে তার আয় বেড়েছে ৪ গুণ। স্বশিক্ষিত আরিফের বর্তমান আয় ৩১ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৬ টাকায়। ৭ বছর আগে স্ত্রী সামা হক চৌধুরীর নামে স্থাবর সম্পদ ছিল না। এখন তিনি কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। আরিফুল হক চৌধুরী যে গাড়িতে চড়েন সেটির দাম এক কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৮ টাকা। অপর আরেকটি গাড়ির দাম দেখিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। তার কাছে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণের দাম ৩০ হাজার টাকা। আর স্ত্রীর ২৭ ভরি স্বর্ণের দাম দেখিয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ৪৫০ টাকা।
গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন পার্থ: ভোলা-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। পেশায় রাজনীতিক, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন ধারায় দশটি মামলা ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওইসব মামলা হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আটটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। বাকি দুটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। পার্থের দেশে সম্পদ রয়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ টাকার বেশি। বার্ষিক আয় ৪১ লাখ ৪১ হাজার টাকা। বিদেশে তার নামে কোনো সম্পদ নেই। এ প্রার্থীর হাতে ৭৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা নগদ রয়েছে। আর ব্যাংকে রয়েছে ৭২ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এ প্রার্থীর নিজ নামে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তার নিজের নামে রয়েছে ১০০ তোলা স্বর্ণ ও স্ত্রীর নামে রয়েছে ৬০ ভরি স্বর্ণ। তার স্ত্রীর হাতে রয়েছে ২৬ হাজার ২৯৫ টাকা ও ব্যাংকে আছে ১০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় ফ্ল্যাট-দোকান সাকির স্ত্রীর: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে প্রার্থী গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকির চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদ ও টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। জোনায়েদ সাকির সম্পদের পরিমাণ ৪৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে তার স্ত্রী তাসলিমা আখতারের সম্পদের মূল্য এক কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এই সম্পদের মধ্যে তাসলিমা আখতারের নামে তিন হাজার ২৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট ও ১৬৭ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকানও রয়েছে। এই ফ্ল্যাট ও দোকানের দাম দেখিয়েছেন ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৪ টাকা। এছাড়া তার নামে ১৮ দশমিক ১৮ শতক কৃষি জমি রয়েছে, যার দাম ১৫ হাজার টাকা। কত সালে কোন এলাকায় ফ্ল্যাট ও দোকান কেনা হয়েছে, তা হলফনামায় উল্লেখ নেই। তাসলিমা আখতারের পেশা আলোকচিত্রী ও শিক্ষকতা। আর জোনায়েদ সাকি পেশায় প্রকাশক। বছরে জোনায়েদ সাকির আয় সাত লাখ ৭২ হাজার টাকা আর তার স্ত্রীর আয় ২৩ লাখ ৯ হাজার টাকা। হলফনামায় নিজ নামে ১১ একর অকৃষি জমির কথা উল্লেখ করেছেন সাকি। তবে এই জমির ‘মূল্য জানা নেই’ উল্লেখ করেছেন।
‘পরামর্শক’ নাহিদের আয় ১৬ লাখ টাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পেশা পরামর্শক। তিনি বছরে আয় করেছেন ১৬ লাখ টাকা। ঢাকা-১১ আসনের এই প্রার্থীর কোনো জমিজমা, ব্যাংকে স্থায়ী আমানত, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক ঋণ ও মামলা-মোকদ্দমা কিছুই নেই। হলফনামায় নাহিদ উল্লেখ করেছেন, তার কাছে নগদ অর্থ আছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রীর আছে দুই লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা। গহনা আছে সাত লাখ ৭৫ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর গহনা আছে ১০ লাখ টাকার। সব মিলিয়ে নাহিদের বর্তমান সম্পদের মূল্য ৩০ লাখ টাকা। ২০২৫-২৬ করবর্ষের রিটার্নে নাহিদ আয় দেখিয়েছেন ১৩ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। সম্পদ দেখিয়েছেন ৩২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। আর আয়কর দিয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার টাকা।
ব্যবসায়ী সারজিসের সম্পদমূল্য ৫ লাখ টাকা: পেশায় ব্যবসায়ী সারজিস আলমের বার্ষিক আয় ৯ লাখ টাকা। তার মোট সম্পদ মূল্য পাঁচ লাখ টাকা। এছাড়া বাড়ি-গাড়ি কিছুই নেই এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় এ মুখ্য সংগঠকের। হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারজিস আলমের হাতে নগদ অর্থ রয়েছে তিন লাখ ১১ হাজার ১২৮ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ এক লাখ টাকা। তার নামে দান করা কৃষি জমির পরিমাণ ১৬ দশমিক ৫০ শতক। এছাড়া ব্যবসা থেকে বছরে তার আয় ৯ লাখ টাকা। স্নাতকোত্তর পাস সারজিস আলমের নামে একটি মামলা রয়েছে, যা তদন্তাধীন। এছাড়া তার নামে কোন বন্ড, ঋণপত্র বা স্টক এক্সচেঞ্জভুক্ত শেয়ার নেই। তার ব্যবহার্য আসবাবপত্রের মূল্য দেখানো হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মূল্য দেখানো হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। হলফনামায় তার কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নেই। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে সারজিস আলম তার মোট আয় দেখিয়েছেন ২৮ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৮ টাকা। তিনি আয়কর পরিশোধ করেছেন ৫২ হাজার ৫০০ টাকা।
পৈতৃকসূত্রে জমি-ফ্ল্যাটের মালিক রুমিন ফারহানা: বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আলোচিত রাজনীতিক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পৈতৃকসূত্রে ঢাকায় জমি-ফ্ল্যাটের মালিক। ধানমন্ডি ল্যাবরেটরি রোডে মায়ের কাছ থেকে, লালমাটিয়ার বি ব্লকে পিতার কাছ থেকে পাঁচ কাঠা জমি ও পাঁচটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন তিনি। হলফনামায় তিনি পুরানা পল্টনে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণিতে দুটি ফ্ল্যাটের তথ্য দিয়েছেন। যার আনুমানিক মূল্য দেখানো হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া রুমিন ফারহানা হলফনামায় তার মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ৬৫ লাখ টাকা। তার কাছে নগদ ৩২ লাখ টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণালংকারের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পেশায় অ্যাডভোকেট রুমিন ফারহানা বাড়িভাড়া পান আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া শিক্ষকতা ও পরামর্শ দিয়ে আয় করেন ছয় লাখ টাকা। ২০২৫-২৬ করবর্ষে আয়কর রিটার্নে নিজের আয় দেখিয়েছেন ৯৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
অর্ধকোটি টাকা সম্পদের মালিক হাসনাত: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ব্যাংকের নগদ জমাসহ ৫০ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে। তার কোনো জমিজমা ও গাড়ি নেই। সোনা রয়েছে ২৬ লাখ টাকার। অবশ্য আয়কর রিটার্নে সম্পদ দেখিয়েছেন ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯ টাকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর পাশ করা ২৭ বছর বয়সি হাসনাতের পেশা ব্যবসা। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৯ টাকা। আয়কর দিয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি। হলফনামায় হাসনাত উল্লেখ করেন, এক সন্তানের জনক হাসনাতের পিতা-মাতা ও স্ত্রী তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। নিজ নামে বা পিতা-মাতা ও স্ত্রী-সন্তানের নামে কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। এক লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ৬৫ হাজার টাকার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য রয়েছে তার। তার নামে কোথাও কোনো মামলা বা অভিযোগ নেই।
জমিজমা নেই রাশেদ খানের: গণঅধিকার পরিষদের মহাসচিব থেকে পদত্যাগ করে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া রাশেদ খানের ৩০ ভরি স্বর্ণ আছে। এ স্বর্ণ তিনি উপহার হিসাবে পেয়েছেন। তার স্ত্রী উপহার হিসাবে স্বর্ণ পেয়েছেন ১০ ভরি। রাশেদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল স্ত্রীর সম্পদ আছে ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ঝিনাইদাহ-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রাশেদের নামে মোট পাঁচটি মামলা ছিল। ২০১৮ সালে দুটি মামলা খারিজ হলেও তিনটি মামলা এখনো চলমান। তার পেশা ব্যবসা। বছরে আয় করেন সাড়ে চার লাখ টাকা। ব্যাংকে নগদ আছে ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার নামে কোনো ব্যাংক ঋণ ও জমিজমা নেই।
৯০ লাখ টাকা সম্পদ নুরুল হক নুরের: ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আয়কর রিটার্নের তথ্য অনুযায়ী, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ৯০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা সম্পদ আছে। ওই বছর আয় করেছেন ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর আয়কর দিয়েছেন দুই লাখ ৬৭ কোটি টাকা। তার স্কুলশিক্ষক স্ত্রীর বার্ষিক আয় প্রায় এক লাখ ৯২ হাজার টাকা। হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।
এতে তিনি পেশা উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। ব্যবসা থেকে বছরে আয় ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ব্যবসার দায় রয়েছে তিন লাখ ৮৮ হাজার টাকা। উত্তাধিকার সূত্রে সম্পদ পেয়েছেন ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা কৃষিজমি আছে ৮২ ডেসিমেল। তার স্ত্রীর জমি আছে তিন একর। যার মূল্য ১০ লাখ টাকা। তার নিজ নামে ও নির্ভরশীলদের নামে ব্যাংক ঋণ নেই।
ব্যাংকে ২ হাজার টাকা আছে হান্নান মাসউদের: নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের প্রার্থী এনসিপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের ব্যাংকে মাত্র দুই হাজার টাকা জমা আছে। পেশায় ব্যবসায়ী মাসউদের বছরে আয় ছয় লাখ টাকা। নগদ টাকা আছে ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার। হলফনামায় তিনি এ তথ্য উল্লেখ করেছেন। হলফনামার তথ্য মতে, তার ও তার পরিবারের কোনো দায়দেনা বা ব্যাংক ঋণ নেই। নিজ নামে জমিজমাও নেই। নগদ ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকাসহ তার অস্থাবর সম্পদ আছে ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার। এর মধ্যে স্বর্ণ আছে আট লাখ টাকার। জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা রাখা মাসউদের নামে কোনো মামলা নেই।
জমি-বাড়ি কিছুই নেই তাসনিম জারার: ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ডা. তাসনিম জারা। সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করা এই প্রার্থী পেশায় একজন চিকিৎসক, শিক্ষক এবং উদ্যোক্তা। নির্বাচনি হলফনামায় দেখা যায়, তার দেশে সম্পদ রয়েছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ১৯০ টাকার। তবে সব শেষ আয়কর রিটার্নে সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছে ১৯ লাখ ১৩ হাজার ৫০৯ টাকা। বার্ষিক আয় সাত লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ টাকা এবং তিন হাজার ২০০ ব্রিটিশ পাউন্ড। দেশের বাইরে স্বামীর সম্পদ রয়েছে ২৫ লাখ টাকার। এ প্রার্থীর হাতে ১৬ লাখ টাকা নগদ এবং দুই হাজার ২৭০ ব্রিটিশ পাউন্ড রয়েছে, যার মূল্য তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা। একই সঙ্গে স্বামীর হাতে ১৫ লাখ টাকা নগদ এবং ছয় হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড রয়েছে। তাসনিম জারার ব্যাংকে রয়েছে মাত্র ১০ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া তার স্বর্ণালংকার রয়েছে আড়াই লাখ টাকার মতো। তবে তার নিজস্ব কৃষি জমি, অকৃষি জমি, ভবন আবাসিক বা বাণিজ্যিক, চা বাগান, রাবার বাগান, মাছের খামার, বাড়ি-ঘর, অ্যাপার্টমেন্ট কিছুই নেই ঢাকায়। একই সঙ্গে তার কোনো ব্যাংক ঋণও নেই।
মন্তব্য (০)