ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এসব ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস ইউং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন— মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা ও মো. শফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এক বৈঠকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের নিকটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
শেরপুর জেলার বাসিন্দা গ্রেপ্তারকৃত রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। তার আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে পোস্ট করা হয়। তিনি ফেসবুকে তার আইডি থেকে উসকানিমূলক পোস্টও করেন।
এ ছাড়া ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এ ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছে, সে মোট এক লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছে। লুট করা টাকা দিয়ে সে মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন, যা ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
নিউজ ডেস্ক : ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের ব...
নিউজ ডেস্ক : ভারতের দিল্লির ঢাকা হাইকমিশন থেকে পরবর্তী ঘোষণা দেওয়ার আগ প...
নিউজ ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ম...
নিউজ ডেস্কঃ পুলিশ রিপোর্ট আসার পর সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে শর...
নিউজ ডেস্কঃ জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি ...

মন্তব্য (০)