ছবিঃ সিএনআই
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া বিএনপি পক্ষের মামলায় জামিন পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমীর আবু তালেব মন্ডল সহ ৩২ নেতাকর্মী।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা আমলী আদালত-২ এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানালে সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
পাবনা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ খান এহিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে পাল্টাপাল্টি দু'টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় জামায়াতে জেলা আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল সহ ৩২ জনকে আসামী করা হয়। আজকে দুপুরে মামলার সব আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন জানালে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়ার পর পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, 'আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবীরা সত্য উদঘাটন করেছে। কোর্টকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করার জন্যই একজন এমপি প্রার্থী সহ নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অসংখ্য গাড়ী ভাঙ্গা হয়েছে, গুলি করা হয়েছে। আমাদের অনেক ভাইকে আহত করা হয়েছে। বিবেক প্রতিবন্ধী হিসেবে হাবিব সাহেব আমার নামে পর্যন্ত মামলা দিয়েছে। আমরা কিন্তু তার নামে মামলা দেয়নি। এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহার দাবি করেন তিনি।'
পুলিশ ও স্থানীয়দের মতে, গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চাটার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার চর গড়গড়ি গ্রামে জামায়াত প্রার্থীর একটি নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপি'র মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী সমর্থক আহত হন। ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনার পর শনিবার (২৯ নভেম্বর) সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধার ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বাঁধন হাসান আলিম বাদি হয়ে ৩২ জন জামায়াত নেতার নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ১৫০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাতনাম ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় পাবনা জেলা জামায়াতের আমির এবং পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলকে।
অপরদিকে, ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে একই থানায় ৩৮ জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধাকে। এছাড়া ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই পাবনা-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের আত্মীয় এবং অনুসারী।
বগুড়া প্রতিনিধি : বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত...
কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার বরুড়া থানা প্রেসক্লাবের উদ্যো...
লালমনিরহাট প্রতিনিধি ::ভূ-বেষ্টিত দেশ ভুটানের ট্রানজিট পণ্য ...
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জা...
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ...

মন্তব্য (০)