
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্কঃ সীমাবদ্ধ আয়ে মাস চালাতে মধ্যবিত্ত পরিবারের নানা টানাপোড়েন। সাধ ও সাধ্যের মিলন ঘটাতে নিকটজন কিংবা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার চেয়ে, তারা ঝুঁকছেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের দিকে। তবে এর মাধ্যমে বাকিতে পণ্য কেনার সুযোগ নিতে গিয়ে অনেকেই অজান্তেই জড়িয়ে পড়ছেন ঋণের চক্রে। যদিও এই দায় বেহিসাবী গ্রাহকেরই, বললেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।
সিমেন্ট, পাথরকুঁচি, বালি আর পানির কত অনুপাত হলে গড়ে উঠবে নিখুঁত কংক্রিট, সেই হিসাব মেলাতে ব্যস্ত নির্মাণ ব্যবসায়ী জাহিদ হুসাইন। তবে, মনোযোগ কেড়ে নেয় মুঠোফোনে আসা একটি ক্ষুদে বার্তা।
ক্রেডিট কার্ডে দেনা থাকা সব অর্থ, মাসের শুরুতে শোধ করলেও এদিন আবার ৮ হাজার টাকা কেটে রাখার ব্যাখ্যা পাচ্ছেন না তিনি। চলতি মাসের শেষ ক'টা দিন চলতে অন্য আরেকটি ক্রেডিট কার্ডের ওপর ভরসা করতে হবে তার।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস চার্জ কেটে নেয় মাঝে মাঝে। আমরা দেখা যায় দেশের বাইরে যাই কখনো এসে দেখি টাকা কেটে নিচ্ছে। আমরা এগুলো মেনে নিতেও পারি না, ব্যাংকের সঙ্গে কথা বললে সদুত্তোরও পাই না।’
২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ছিলো সাড়ে ১৫ লাখ। ৫ বছরের ব্যবধানে যা এখন সাড়ে ছাব্বিশ লাখ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক বেড়েছে ৬৯ শতাংশ। লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১১শ' কোটি কোটি টাকা থেকে ৩১ শ’ কোটি টাকা।
ক্রমবর্ধমান এই গ্রাহকের অনেকেই নিজের অজান্তেই চক্রাকার এক ঋণের জালে আটকে যাচ্ছেন। কেউ কেউ এক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের দেনা শোধ করতে অন্য ব্যাংক থেকে ফের ক্রেডিট কার্ড নিচ্ছেন। এখন বের হতে পারছেন না এ চক্কর থেকে।
ক্রেডিট কার্ড দেয়া হয় ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই করেই। তবে, কোনো গ্রাহক ঋণের জালে আটকালে দায়টা সেই বেহিসেবী গ্রাহকের। এমন অভিমত বাংলাদেশ ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন বলেন, ‘অধিক সুদহারে ঋণ গ্রহণ করি। কারণ এটা আমাদের তাৎক্ষণিক ঋণের চাহিদা পূরণ করে থাকে। অর্থাৎ, আমরা যদি ক্রেডিট কার্ড বজায় রেখে ঋণের বোঝার মধ্যে পড়তে না চাই তাহলে আমাদের হিসাব অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে।’
মুদিখানার বাজার-সদাই করতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা। এরপর আসে খুচরা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, পরিবহন, ব্যবসা ক্ষেত্রে। ভোগমূলক কাজে ব্যবহার করলে ক্রেডিট কার্ড নির্ভর জীবন থেকে মধ্যবিত্তের মুক্তি নেই বলে অভিমত এই অর্থনীতিবিদের।
অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ডের যে লিমিট দেয়া হয় এটা এক ধরনের মাইক্রো ক্রেডিট। দীর্ঘদিন যখন মাইক্রো ক্রেডিটে সংযুক্ত থাকে তখন কিন্তু আর দরিদ্রতা থেকে বের হতে পারে না। অর্থনীতিতে ক্রেডিট কোনোভাবেই নেতিবাচক কিছু না৷ এটা আপনাকে বুস্ট আপ করার জন্য এক ধরনের এসিসট্যান্ট। সুতরাং আপনি ব্যবহার কিভাবে করছেন তার ওপর নির্ভর করে।’
বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডের প্রচলন ১৯৯৭ সালে। বর্তমানে প্রায় ৪০টি ব্যাংক এই সেবা দিচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দা...
নিউজ ডেস্ক : দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩২ দশমিক ১০ বিলি...
নিউজ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলা...
নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্...
নিউজ ডেস্ক : রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিশ্ববাজারে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর...
মন্তব্য (০)