
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : বিএসটিআই, উৎপাদনকারী এবং ভোক্তা সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় মানহীন পণ্য প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিএসটিআই যদি সবসময় কারখানায় মোবাইল কোর্ট নিয়ে যায় তাহলে তো সহযোগিতা করা হলো না। আবার উৎপাদকরা যদি বিএসটিআইয়ের সিল নিয়ে ভেজাল পণ্য উৎপাদন করেন তাহলে নৈতিকতার কিছু থাকে না। এছাড়া ভোক্তাদেরও পণ্য কেনার সময় সচেতন হতে হবে।
মঙ্গলবার ৫৬তম বিশ্ব মান দিবসের আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পণ্য এবং সেবার মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রতি বছরের মতো এবারও এ আলোচনার আয়োজন করে বিএসটিআই। এ বছরের বিশ্ব মান দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে মান’।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। বিশেষ বক্তা ছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, এফবিসিসিআিই’র মহাসচিব মো. আলমগীর এবং কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি এএইচএম সফিকুজ্জামান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসটিআই মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এসএম ফেরদৌস আলম।
বক্তারা বলেন, এ বছর এসডিজি গোল-১৭ : ‘অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্ব’কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশের মধ্যে অর্থ, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নীতিগত সুসংগঠনের মতো পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। এসডিজি ১৭ অর্জনের লক্ষ্যে বিএসটিআই পণ্যের মান নিশ্চিত করে দেশীয় উৎপাদনকে শক্তিশালী করে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথ সুগম করে। শিল্পপ্রতিষ্ঠান, উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের দায়িত্ব হলো বিএসটিআইয়ের মানদণ্ড মেনে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি করা।
অন্যদিকে, ভোক্তা সাধারণের উচিত মানসম্পন্ন পণ্য ক্রয় এবং এ বিষয়ে সচেতন হওয়া। যখন সরকার, উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ সবাই মিলে ‘মান’ বজায় রাখার জন্য কাজ করবে, তখনই দেশে গুণগত মানসম্পন্ন শিল্প গড়ে উঠবে। এভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এসডিজি ১৭ সহ সব লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। এজন্য পণ্য কেনার সময় অবশ্যই বিএসটিআই সিল দেখে কিনতে হবে।
বক্তারা বলেন, ভেজাল ও নকলকারীদের বিরুদ্ধে বিএসটিআইকে আরও কঠোর হতে হবে।
শিল্প সচিব বলেন, বিএসটিআই এখন যে অবস্থানে আছে যেটা অনেক ক্ষেত্রে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে মনে করি। বিএসটিআইতে স্থাপিত ন্যাশনাল হালাল ল্যাবরেটরিসহ অনেক ল্যাবরেটরি রয়েছে যেগুলো আন্তর্জাতিক মানের।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে আইএসও সনদ দেওয়া হয়। এর মধ্য রয়েছে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম), কাউবেল কেফির লিমিটেড, এডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান।
নিউজ ডেস্ক : ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অ...
নিউজ ডেস্ক : বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচ...
নিউজ ডেস্ক : কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে সংঘটিত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ...
নিউজ ডেস্ক : মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরি...
নিউজ ডেস্ক : ঢাকার মিরপুরের রূপনগর এলাকায় পোশাক কারখানা ও রা...
মন্তব্য (০)