• লিড নিউজ
  • জাতীয়

‎জাতিসংঘ পানি কনভেনশনে ন্যায্য পানি বণ্টন ও আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশের আহ্বান

  • Lead News
  • জাতীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৈশ্বিক পানি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যতা, স্থায়িত্ব ও ন্যায়বিচার রক্ষায় সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

‎পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের টিকে থাকার জন্য আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা অপরিহার্য।  দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জাতিসংঘ পানি কনভেনশনে সদস্যপদ টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় গঠনমূলক আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা বাড়াবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

‎সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ পানি কনভেনশনের অধীনে ‘ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ ও ‘মনিটরিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট’ বিষয়ক ষষ্ঠ যৌথ সভার প্রথম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

‎নব-অধিভুক্ত সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য ‘নদী শুধু নদী নয়—নদীই আমাদের প্রাণ।’ এই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাহিত বদ্বীপ—গঙ্গা-পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও সুরমা-মেঘনা অববাহিকার মিলনে গঠিত। দেশের মোট পৃষ্ঠজলের ৯০ শতাংশের বেশি আসে সীমান্তের বাইরে থেকে।

‎ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর ন্যায্য ও যুক্তিসংগত ব্যবহার, অংশগ্রহণ এবং ‘কোনো ক্ষতি না করার’ নীতির পক্ষে কথা বলছে।

‎তিনি জানান, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও যৌথ নদী কমিশন গঠনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে অববাহিকাভিত্তিক আঞ্চলিক সহযোগিতা এখনো নীতিগত প্রধান লক্ষ্য হিসেবে রয়ে গেছে।

‎তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের ঐতিহাসিক রায়ু যেখানে দেশের সব নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ বা আইনগত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি বিশ্বে পরিবেশগত ন্যায়বিচারের এক অনন্য উদাহরণ।

‎তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নদী রক্ষায় বিস্তৃত নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করেছে, তবে বাস্তবায়নে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। এজন্য সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা উন্নয়ন, এবং শিল্প ও গৃহস্থালি দূষণ, লবণাক্ততা ও প্রবাহ হ্রাস মোকাবেলায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

‎তিনি  জানান, সরকার দেশজুড়ে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিরূপণ করছে এবং ইতোমধ্যে দুইটি অঞ্চলকে ‘পানি সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ চলছে, যাতে নিরাপদ পানীয় জলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়।

‎সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সহনশীলতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

‎অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য (০)





image

‎গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান...

image

রাজধানীতে দুই বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় ভিক্টর...

image

বায়ুদূষণে বিশ্বে তৃতীয় ঢাকা, বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর'

নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিনদিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্...

image

‎ঢাকা লকডাউন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকব...

নিউজ ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ম...

image

‎তরুণরা দেশের প্রতিটি সংকট পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু: উপদে...

নিউজ ডেস্কঃ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বল...

  • company_logo