• লিড নিউজ
  • জাতীয়

‎হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সর্বশেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

  • Lead News
  • জাতীয়

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সর্বশেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

‎আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই মামলার শেষ (৫৪ তম) সাক্ষী হিসেবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। তৃতীয় দিনে আজ তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হলে জেরা শুরু করেন পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের আইনজীবী। জেরার পরবর্তী অংশ শুরু হবে আগামী সোমবার।

‎আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ দেয়া জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং সরকার দলীয় সশস্ত্র নেতাকর্মীরা দেশের ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্পটে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে। এছাড়া ৫০টিরও অধিক জেলায় আন্দোলনকারীদের উপর মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

‎সাক্ষীর জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, আমি তদন্তকালে পেয়েছি যে, ২০২৪-এর আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার যত গুম, খুন, জখম, অপহরণ ও নির্যাতন করেছে তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ক্ষমতায় টিকে থাকা। এছাড়া গত ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী দল, মত ও প্রতিপক্ষের উপর হত্যা, জংঙ্গি নাটক, জোরপূর্বক অপহরণ, গুমসহ পাতানো নির্বাচনের সবকিছুর মূলে ছিলো দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য যত রকমের ব্যবস্থা আছে তার সবই গ্রহণ করেছে। এর ফলে ২০২৪-এর আন্দোলনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছে।

‎ঐতিহাসিক এই মামলায় এর আগে সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের পিতাসহ স্বজন হারা পরিবারের অনেকে। এছাড়া স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

‎এই মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করছেন। সেই সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররা শুনানিতে উপস্থিত থাকেন। পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

‎মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হিসেবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

‎এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দু’টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

‎গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দু’টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।

মন্তব্য (০)





image

প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাব: রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্...

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র শান্তি...

image

‎জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে শীঘ্রই সমন্বিত প্রশিক্ষণ...

নিউজ ডেস্কঃ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম জানিয়েছ...

image

‎প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের রোহিঙ্গ...

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূ...

image

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী মৌসুমি বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’ ‎দেশের ওপর ...

নিউজ ডেস্কঃ মৌসুমি বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’। এটি ...

image

‎প্রাথমিক শর্ত পূরণ করায় নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপি ও জাতীয় লীগ

নিউজ ডেস্কঃ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের প্রাথমিক শর্ত পূরণ ...

  • company_logo