
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে শিশুরা বেশ এগিয়ে। মোবাইল অনেক সময় হয়ে ওঠে তাদের নিত্যসঙ্গী। অনেক শিশু মোবাইল না পেলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমনকি বেশিরভাগ শিশু মোবাইল ছাড়া খাবারই খেতে চান না।
মোবাইলে বা টিভিতে কার্টুন দেখতে ভালোবাসে শিশুরা। কারণ এটি তাদের আনন্দ দেয়, শেখায় এবং কল্পনার জগতে নিয়ে যায়। কিন্তু একটি শিশু কতক্ষণ কার্টুন দেখছে, তার উপর নির্ভর করে তার মানসিক স্বাস্থ্য।
কার্টুনের উপকারিতা
কার্টুন দেখার মাধ্যমে শিশুরা অনেক বিষয় সহজেই শিখতে পারে। যেমন ভাষা, রং বা কোনো সমস্যার সমাধান সম্পর্কে কার্টুন তাদের ইতিবাচক ধারণা দেয়। কার্টুনের মাধ্যমে অল্প বয়সে গল্প শোনার প্রতি তাদের আকর্ষণ তৈরি করে।
তাছাড়া কার্টুনের নৈতিক গল্পের মাধ্যমে শিশুদের নৈতিক দিক শেখানো সম্ভব হয়।
কখন সমস্যা হবে?
বিভিন্ন কার্টুনের গল্পের গতিপথ অনেক রকমের হতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিসম্পন্ন কার্টুন একটানা ৯ মিনিটের বেশি দেখলে শিশুদের একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। কখনো কখনো তা তাদের সমস্যার সমাধানে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
২ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে যদি স্ক্রিন টাইম বেশি হয়, তাহলে অনেকেই কথা বলা, স্মৃতি সংরক্ষণ বা সামাজিক আদান-প্রদানের বিভিন্ন রীতি দেরিতে আয়ত্ত করে।
অনেক সময় অতিরিক্ত কার্টুন দেখার ফলে শিশুরা পছন্দের চরিত্রদের অনুকরণ করতে শুরু করে। তার ফলে তাদের ব্যবহার বা কথা বলার ভঙ্গিতে পরিবর্তন আসতে পারে। কখনো কখনো কাল্পনিক এবং বাস্তব জগতের মধ্যে পার্থক্য করতেও তাদের সমস্যা হতে পারে।
কার্টুন দেখার মাধ্যমে ছোটদের দৈনিক স্ক্রিন টাইমও বাড়তে থাকে। তার ফলে অনেক সময়ে তাদের মানসিক জগতে পরিবর্তন ঘটতে পারে। ছোটদের মনে উদ্বেগ বাড়তে পারে। আবার অনেকের মধ্যে লাজুক স্বভাব বাড়তে পারে। সারাক্ষণ কার্টুনই তাদের মুখে তখন হাসি ফোটায়। ফলে খেলাধুলা বা অন্যান্য সামাজিক কাজকর্মে তাদের আগ্রহ কমতে পারে।
সমতা এবং সুস্থতা
কার্টুন অনেক সময়ে হিংসাত্মক হতে পারে। তাই শিশুদের জন্য বিষয় বড়দেরই নির্বাচন করে দেওয়া উচিত। ধীর গতির শিক্ষামূলক কার্টুনই তাদের দেখার পরামর্শ দেওয়া উচিত।
যে সমস্ত শিশু এখনো স্কুলে প্রবেশ করেনি, তাদের ক্ষেত্রে দিনে এক ঘণ্টার বেশি কার্টুন দেখতে দেওয়া উচিত নয়।
কার্টুনের পাশাপাশি শিশুদের গল্প করা বা বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলাধুলা করার পরামর্শ দেওয়া উচিত।
কাল্পনিক এবং বাস্তব জগৎ সম্পর্কে শিশুদের স্পষ্ট ধারণা তৈরির জন্য তাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা উচিত। ছোটদের শান্ত রাখতে সব সময় কার্টুনকে ব্যবহার করা উচিত নয়।
নিউজ ডেস্ক : মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আবা...
নিউজ ডেস্ক : শরতে বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং ফলের আচার করা হয়। বিশেষ করে আমড়...
নিউজ ডেস্ক : অনেকেই ঝাল খাবারের স্বাদ উপভোগ করেন, তবে মরিচের...
নিউজ ডেস্ক : শুধু গরমে নয়, সানস্ক্রিন হলো ১২ মাসের ব্যবহারের সামগ্রী। তব...
নিউজ ডেস্ক : চালতা দিয়ে তৈরি হয় নানা রকম মুখরোচক খাবার- চালতার ডাল কিংবা...
মন্তব্য (০)