
নওগাঁ প্রতিনিধি : তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে নওগাঁয় অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচে বগুড়া জেলা দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ছুটির দিনে মনোরম পরিবেশে নওগাঁসহ আশেপাশের সকল বয়সের কয়েক হাজার ফুটবল প্রেমী দর্শকরা উপস্থিত হয়ে খেলা উপভোগ করেন।
৯০মিনিটের খেলায় অংশ নেয় নওগাঁ জেলা দল ও বগুড়া জেলা দল। খেলায় টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বগুড়া জেলা দল। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করলেও কেউ কাজে লাগাতে না পারায় নওগাঁ জেলা দলকে ৫-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায় বগুড়া জেলা দল।
ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে খেলার উদ্বোধন করেন ও খেলা শেষে বিজয়ী-বিজিত দলের মাঝে শুভেচ্ছা পুরস্কার ও ট্রফি তুলে দেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক টি.এম.এ মমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা, সাদিয়া আফরিন, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিএম ইমরুল কায়েস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নওগাঁ ও বগুড়ার জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খোলোয়ার, দুই জেলার ক্রীড়া সংস্থার সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় সুধীজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, তারুণ্যের উৎসব ও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা। তারুণ্যই একটি জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি। খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে মাদক, অবক্ষয় ও বিপথগামিতা থেকে দূরে রেখে একটি ইতিবাচক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। নওগাঁর হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলাকে মাঠে ফিরিয়ে আনার প্রচেস্টা মধ্যে দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে শেষ হওয়া জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট, ভলিবল টুর্ণামেন্ট এবং অন্যান্য ইভেন্টগুলো দর্শকদের খেলার মাঠের দিকে আকৃষ্ট করছে। নওগাঁর হারিয়ে যাওয়া ক্রীড়াঙ্গনকে চাঙ্গা করতে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা বিভিন্ন খেলার আয়োজন অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরো বলেন প্রীতি ম্যাচে নওগাঁ জেলা বনাম বগুড়া জেলা দলের ফুটবলে নওগাঁ জেলা দল পাঁচটি গোল হজম করেছে। তবে খেলা দেখতে ও খেলোয়ারদের উৎসাহ দিতে দর্শকদের কোন কার্পণ্য ছিল না। এটিই হচ্ছে আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের সৌন্দর্য। আমরা আমাদের সামর্থ্য জানতে পারলাম। আমাদের ছেলেরা যে খারাপ খেলেছে সেটি বলার সুযোগ নেই। পুরো সময় কয়েকবার তারা শতভাগ গোলের সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেনি পক্ষান্তরে বগুড়া জেলা দল ষাট শতাংশ চান্সকে শতভাগ চান্সে রূপান্তরিত করেছে। এখানে আমাদের অনেক শেখার বিষয় ছিল। প্রথমত দলগত অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা আমরা উপলব্ধি করলাম। দ্বিতীয়তঃ খেলাধুলার ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত জয়ের প্রেরণা নিয়ে খেলার প্রয়োজনীয়তা এবং সর্বশেষ খেলোয়ারদের মধ্যে ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে দলগত স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা। বগুড়া জেলা দল প্রতিনিয়ত একসঙ্গে প্র্যাকটিস করে। তাদের মধ্যে দলীয় স্পিরিট বেশী ছিলো। তবে তাদের তুলনায় আমাদের দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বেশী ছিলো। ম্যাচ খেলার অভ্যাস কম থাকায় আমাদের ছেলেরা হয়তো ভালো করেনি কিন্তু আমি নিশ্চিত কয়েকটা ম্যাচ খেললেই আমাদের ছেলেরা দেশের যে কোনো জেলাকে হারাতে পারবে ইনশাআল্লাহ। সবাই নওগাঁ জেলা দলের সাথে থাকুন। ফুটবল অঙ্গনে নওগাঁর বিজয় অতি সন্নিকটে।
মন্তব্য (০)