
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : রাশিয়ায় বুধবার ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত বড় যত ভূমিকম্প রেকর্ড হয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম। এতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই মাত্রার সুনামির ধাক্কা আসেনি এ ভূমিকম্পে।
বিবিসি জানায়, সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও বুধবারের সুনামি ছিল বেশ দুর্বল। কামচাটকা উপদ্বীপ প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হলেও এটি ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারের’ মধ্যে পড়েছে। এই রিংয়ের মধ্যে অবস্থিত অঞ্চলজুড়ে অধিক ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি দেখা যায়। পৃথিবীর উপরের স্তরগুলো অনেক অংশ বা টেকটোনিক প্লেটে বিভক্ত। এসব প্লেট একে অপরের সাপেক্ষে নড়াচড়া করে। ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’ হলো এসব প্লেটের মাঝে এমন এক বক্ররেখা, যা প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে বিস্তৃত। এই রিংজুড়ে বিশ্বের ৮০ শতাংশ ভূমিকম্প হয়, বলছে ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা।
বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত করার সময় প্লেটগুলোর হঠাৎ সরে যাওয়া ওপরে থাকা পানিকে জায়গা থেকে ছিটকে ফেলে, যার ধাক্কা পরে সুনামি হয়ে তীরে আছড়ে পড়ে। গভীরে সমুদ্রে সুনামি ঘণ্টায় ৫০০ মাইলেরও (৮০০ কিলোমিটার) বেশি গতিতে ছুটতে পারে, অনেকটা যাত্রীবাহী বিমানের মতো। সেখানে ঢেউগুলোর মধ্যে দূরত্ব থাকে অনেক দীর্ঘ, ঢেউগুলো খুব একটা বড়ও হয় না, বিরল ক্ষেত্রে এক মিটারের (সোয়া তিন ফুট) বেশি হয়। কিন্তু সুনামি যখন স্থলের কাছে অগভীর পানিতে পৌঁছায়, এর গতি কমে প্রায়ই ঘণ্টায় ২০ থেকে ৩০ মাইলে নেমে আসে। উপকূলের কাছে পানির দেয়ালও তৈরি করতে পারে। বুধবারের ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও চার মিটার (১৩ ফুট) উচ্চতার ঢেউ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।
এরপরও এই উচ্চতা ভারত মহাসাগরে ২০০৪ সালের বক্সিং ডের সুনামি কিংবা ২০১১ সালে জাপান সুনামির ঢেউয়ের তুলনায় অনেক কম। বক্সিং ডে সুনামিতে কোথাও কোথাও ঢেউয়ের উচ্চতা দেড়শ ফুট ছাড়িয়ে গিয়েছিল। উপকূলের কাছে সমুদ্রতলের আকৃতি এবং যেখানে আছড়ে পড়ছে, সেখানকার ভূমির আকৃতিরও সুনামির ঢেউয়ের উচ্চতার ওপর প্রভাব ফেলে। বুধবার ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করে জাপান প্রায় ২০ লাখ মানুষকে তুলনামূলক উঁচু এলাকায় সরিয়ে নিয়েছিল। এর কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
আলজাজিরা জানায়, রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে যে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর পরই বিভিন্ন দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া লাখো মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইকুয়েডর পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সরে উঁচু স্থানে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়।
নিউজ ডেস্কঃ ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় মানবিক সহায়তা আটকে দি...
নিউজ ডেস্কঃ মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ...
নিউজ ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চরম খ...
নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছ...
নিউজ ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলে বর্বর হামলায় প্রতিনিয়ত প্রাণ হার...
মন্তব্য (০)