
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, এনসিপির নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য অত্যন্ত উসকানিমূলক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ইতোপূর্বে যেদিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বাজে বক্তব্য দেয়, তার পরের দিন চাঁদপুরে তার একটা সমাবেশ ছিল। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার কারণে চাঁদপুরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল। তখন রমজান সময়। সমাবেশে যাতে কোনো ঝামেলা না ঘটে সেজন্য নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী রাত ৩টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ভাইকে কল দেন। এরপর সালাহউদ্দিন আহমেদ ভাই সে সময়ই চাঁদপুরের নেতাদের বলে দেন, কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও লেখেন, বেশ কয়েক মাস আগে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ এনসিপির বর্তমান বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ ভাইয়ের বাসায় বসেছিলেন। সেখানে দেশ, জাতি, রাজনীতি, নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনাও করেন তারা। বিষয়গুলো আমি আর বিস্তারিত না বলি। তার সঙ্গে অনেক আলাপচারিতায় তিনি এনসিপির নেতাদের প্রতি সবসময় আন্তরিক ভাষায় কথা বলেছেন। ঐকমত্য কমিশনেরও বৈঠকের এমন কিছু হাস্যোজ্জ্বল ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
রাশেদ খান লেখেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার ও ভিপি নুরুল হক নুরের সম্পর্ক বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সময় থেকে। হাসিনার পতন নিয়ে কী করা যায় অসংখ্য আলোচনা তার সঙ্গে হয়েছে। এমনকি ২০২৪-এর জুনে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন আবারও শুরু হয়, তখন সালাহউদ্দিন আহমেদ ভাই, নুরুল হক নুর ও আমি একসঙ্গে অনেক বিষয় সমন্বয় ও আলোচনা করেছি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও লেখেন, তিনি এত আন্তরিক মানুষ, যারা তার সঙ্গে মিশতে পারেননি, তারা হয়তো বুঝবেন না। যারা তার সঙ্গে মিশতে পেরেছেন, তারা প্রত্যেকে তার আচরণ ও মেধার প্রশংসা করতে বাধ্য। আজ তার বাড়ির পাশে গিয়ে তাকে নিয়ে এনসিপির নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য অত্যন্ত উসকানিমূলক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। ফলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, সেটাও দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। আমি মনে করি, এনসিপির নেতাদের উচিত আখতার হোসেনকে অনুসরণ করা। এনসিপি যদি দাঁড়ায় তবে আখতারের সততা ও সহনশীলতার ওপর দাঁড়াবে। আর বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহনশীল হতে হবে। বক্তব্যের উসকানির ফাঁদে পড়ে ঘোলাটে পরিস্থিতির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আপনারাই হবেন। তাই বড় দল হিসেবে অনেক কিছু হজম করুন। আমি আজকের ঘটনার নিন্দা জানাই এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। না হলে বিভাজনের ফলে আবারও ১/১১ সৃষ্টি হলে, হাসিনা ফিরবে। তখন কারও রক্ষা হবে না। সবাই সহনশীল হন, ধৈর্য ধরুন।
নিউজ ডেস্কঃ গণতন্ত্র এখনো নিরাপদ নয় মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহা...
নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে মির...
নিউজ ডেস্কঃ সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ...
নিউজ ডেস্কঃ বান্দরবান নিয়ে আগের এক বক্তব্যের জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ কর...
নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা ...
মন্তব্য (০)