
ছবিঃ সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েল অধিকৃত ভূখণ্ডে রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সোমবার গভীর রাত থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলা এই পাল্টা আক্রমণে পুরো ইসরায়েলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক, থমকে যায় জনজীবন।
সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সশস্ত্র ড্রোনের মাধ্যমে তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফা এবং আশকেলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে হামলা চালায়। এ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো কার্যত অক্ষম হয়ে পড়ে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে ব্যর্থ ইসরায়েল
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতি, উচ্চতা ও জটিল গতিপথের কারণে সেগুলো বাধা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন। উচ্চগতি সম্পন্ন এসব ক্ষেপণাস্ত্র মাধ্যাকর্ষণের পথে ফিরে এসে টার্গেটে আঘাত হানে। আর সেই কারণেই বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য এগুলো এক বড় চ্যালেঞ্জ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শব্দের চেয়ে ৫-২০ গুণ বেশি গতিতে (ম্যাক ৫+ স্পিডে) ছুটে আসে, ফলে রাডার বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সঠিক সময়ের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে না।
‘আয়রন ডোম’ হ্যাকড, নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্রেই আঘাত ইসরায়েলের!
ইরানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ইরনা জানায়, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এতে করে প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র বিভ্রান্ত হয়ে ভুল করে নিজেদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করে সফলভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে।
সাইবার হামলায় বিভ্রান্তি
ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার কর্তৃপক্ষও সোমবার স্বীকার করেছে, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নাগরিকদের বিভ্রান্ত করতে ভুয়া বার্তা পাঠানো হয়েছিল, যাতে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে না যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ইরানের পক্ষ থেকে পরিচালিত একটি সফল সাইবার হামলার প্রমাণ।
প্রতিক্রিয়ায় খামেনির হুঁশিয়ারি
১৩ জুন রাতে ইসরায়েল ইরানে বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এতে আবাসিক ভবন ও সেনাঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ হয় এবং শীর্ষ ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা শহীদ হন। এর পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তৎক্ষণাৎ নতুন সামরিক কমান্ডার নিয়োগ দেন এবং হুঁশিয়ারি দেন, “ইসরায়েলের জন্য অন্ধকার সময় আসছে।”
ইরানের প্রতিশোধ: “নরকের দরজা খুলে গেছে”
এরপর থেকেই ইরান একের পর এক হামলা শুরু করে। আইআরজিসি জানায়, “তেল আবিবের মোসাদ ও সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্রগুলো আমাদের নিশানায় পড়েছে। এখন সেগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত।”
ইরানি কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “এই প্রতিরোধ যতদিন প্রয়োজন, চলবে ততদিন। ইসরায়েলের জন্য নরকের দরজা খুলে গেছে।”
ইসরায়েলে অচলাবস্থা
ইসরায়েলজুড়ে এখন জনজীবন প্রায় থমকে গেছে। কোটি কোটি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল ও বাজার বন্ধ রয়েছে। রাজধানী ও উপকূলীয় শহরগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সাবেক পরিদর্শক ডেভিড অলব্রাইট বলেছে...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তেহরানের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ভারামিন শহরের জাভাদাবা...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, ই...
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক হুমকি এখন ...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ঘোষণা করেছ...
মন্তব্য (০)