• কূটনৈতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চায় ইরান

  • কূটনৈতিক সংবাদ

ছবিঃ সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্কঃ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন চুক্তিতে পৌঁছানোর পর তেহেরানের ওপর থেকে কীভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে ওয়াশিংটনকে তা স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে। 

সোমবার (২ জুন) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই এমন মন্তব্য করেন। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছে। তবে অযাচাইকৃত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ওই প্রস্তাবকে ইরান ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সাত সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন একটি শান্তিপূর্ণ চুক্তির নিশ্চয়তা প্রত্যাশা করছে। অন্যদিকে তেহেরান তার অর্থনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আশা করছে। 

যদিও ওয়াশিংটনের কাছ থেকে তেহেরান চুক্তির বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। তবে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাঘেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের স্পষ্ট নিশ্চয়তা চেয়েছেন। এছাড়া কীভাবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দাবি করেছেন । 

তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট কিছু জানায়নি। বাঘেই তার বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইরান ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করছে। 

এদিকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকভ বলেছেন, তেহেরানের অব্যাহতভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষুব্ধ এবং একে তিনি ‘রেড লাইন’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। 

জাতিসংঘের ফাঁস হওয়া একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান প্রায় ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে। যদিও এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশের কিছুটা কম, তবে পারমাণবিক জ্বালানির ক্ষেত্রে ৪ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। 

বাঘেই এই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। একটি দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে চাপ প্রয়োগ করছে। 

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ইরানকে সব ধরনের ইউরেনিয়াম মজুদ বন্ধ রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে। 

তেহেরান মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এটি এখনও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যদিও হোয়াইট হাউস এই প্রস্তাবকে ‘ইরানের সর্বোত্তম’ স্বার্থ বলে মন্তব্য করেছে। 

বাঘেই বলেন, কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করার অর্থ এই নয় যে আমরা তা মেনে নিয়েছি। 

মন্তব্য (০)





image

ইরান ইউরেনিয়াম যেখানে লুকিয়েছে সেখানেই হামলা হবে: ক্যারোল...

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়...

image

এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একজোট পাকিস্তান-তুরস্ক

অনলাইন ডেস্কঃ তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনের ফ...

image

নেতানিয়াহু একদিন থাকবে না, কিন্তু ইরান থাকবে: দিমিত্রি ম...

অনলাইন ডেস্কঃ রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দেশটির নিরাপত্তা কাউন্সিলের উ...

image

ইসরায়েল ‘সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে’ জাতিসংঘে মুখ ফসকে মার্কিন রাষ্...

অনলাইন ডেস্কঃ জাতিসংঘে দেওয়া এক বক্তব্যে ভুলবশত ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে &...

image

হামলার জবাবে ইরানের প্রতিক্রিয়া ‘বৈধ আত্মরক্ষার’ অংশঃ ফাত...

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভুয়া অজুহাতে ইরানের ওপর ইসরায়েলের চালানো হামলাকে ইরাক...

  • company_logo