শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ চিকিৎসা দেয়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের স্বীকার হন ডাঃ আমিনুর রহমান। পরবর্তীতে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা মুক্তি পণের বিনিময়ে মুক্তি মিলেছে ঐ চিকিৎসকের।
অপহরণের স্বীকার ডাঃ আমিনুর রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক। তিনি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার কচুটি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ।
শনিবার(১১জানুয়ারী) গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিতে এসে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মমাহাসড়কের পাশে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় অপহৃত হন তিনি। অপহরণকারীরা তাকে জিম্মি করে মুঠোফোন থেকে তার স্বজনদের কাছে ফোনে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে। রাত এগারোটা পর্যন্ত তিন দফায় এক লাখ টাকা পাঠানো হয়। কিছু সময় পর অপহরণকারীরা বাকি টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকে। রাত ৩টার দিকে আরো ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। ভোর রাত ৪টার দিকে অপহরণকারীরা তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোতাপাড়া-রাজেন্দ্রপুরের মাঝামাঝি একটি নির্জণ স্থানে গাড়ি থেকে ফেলে রাখে । অপহরণকারীরা তার ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা, দুটি স্মার্টফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়েছে ।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিনুর রহমানের ছোটবোনের স্বামী সৈয়দ ইসমাইল হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিতে ঢাকা থেকে রওনা দেন। কাজ শেষে বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় অজ্ঞাত অপহরণকারীরা তাকে অপহরণ করে। তার মুঠোফোন থেকে পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবী করা হয়। তাকে মারপিট করে হত্যার হুমকি দেয়। আমরা নিরুপায় হয়ে তার প্রাণ বাঁচাতে রাত এগারোটা পর্যন্ত তিন দফায় এক লাখ টাকা পাঠাই। কিছু সময় পর ফের অপহরণকারীরা বাকি টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। । তাকে প্রাণে বাঁচাতে রাত ৩টা দিকে আরো ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। সব শেষ ভোর রাত ৪টার দিকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোতাপাড়া-রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার মাঝামাঝি নির্জণ স্থানে তাকে ফেলে যায়। এর আগে অপহরণকারীরা তার ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা, দুটি স্মার্টফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়।
চিকিৎসকের স্ত্রী মোসা. লুনা বলেন, অপহরণ কারীরা আমার স্বামীকে মহাসড়ক থেকে তুলে নিয়ে মুক্তি পণের জন্য মারপিট করে। মোবাইলে বারবার আমার স্বামীর কান্না শুনিয়ে মুক্তিপণ দাবী করে। দুই লাখ টাকা দিতে চাপ দেয়। আমরা তার জীবন বাঁচাতে টাকা দিতে বাধ্য হই। বিষয়টি শ্রীপুর থানা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাবকে জানানো হয়। তাৎক্ষনিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করলে অপহরণ কারীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই চিকিৎসক বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হবার বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা তাকে ফেলে যায়। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য (০)