নোয়াখালীতে মিশু হত্যাচেষ্টায় ৪ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান মিশু নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক উৎপল চৌধুরী এ রায় প্রদান করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত ছিদ্দিক উল্যার ছেলে আবদুল খালেক, আবদুল মোতালেবের ছেলে আবদুর রাশেদ, দেলোয়ার হোসেন বাচ্চুর ছেলে ইমাম হোসেন মাসুদ ও শিবপুর গ্রামের শহিদ আলমের ছেলে সামছুল আলম রাব্বি। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মাসুদ ও রাব্বি পলাতক রয়েছে।

সকালে দুই আসামির উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আসামি আবদুল খালেক ও রাশেদকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে পলাতক দুই আসামি মাসুদ ও রাব্বিকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এক হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এডিশনাল পি.পি এড. মো. আলতাফ হোসেন এবং আসামি পক্ষে এড. ইসমাইল ফয়েজ উল্যাহ রাসেল ও এড. মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাতব্যক্তি মোবাইলে কল করে গোপীনাথপুর বাটুর মোড়ের স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিশুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর মিশু আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রহমানিয়া মাদ্রাসার উত্তর পাশে ঘাড়, মাথা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় মিশুকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরবর্তীতে আহত মিশুকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে দীর্ঘ ৬ মাস চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মিশুর বাবা আবুল হাসেম বাদী হয়ে মিশুকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় চার জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি খালেক ও রাশেদকে গ্রেফতার করে।