• শিক্ষা

শিবচরে পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীদের উচ্ছাসে মুখরিত স্কুল মাঠ

  • শিক্ষা
  • ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৬:২২:২৬

ছবিঃ সিএনআই

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: পিঠা বাঙালির খাদ্য তালিকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষঙ্গ। অনাদিকাল থেকে এ খাদ্যাভ্যাস বাঙালির সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মিশে গিয়েছে গভীর আবেগে। এ ধারাবাহিকতায় মাদারীপুর শিবচরে শিক্ষার্থীদের বাহারি পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করাতে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণিল পিঠা উৎসব। শিবচর নন্দ কুমার মডেল ইনস্টিটিউশনের আয়োজনে স্কুল মাঠে এমন পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে পিঠার স্বাদ নেয়ার পাশাপাশি আনন্দ উল্লাসে মেতে ছিল শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জমকালো এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আলমামুন । এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. মোঃ সেলিম, শিবচর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার, মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আয়শা সিদ্দিকা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মো. মাকসুদুর রহমান, শিবচর নন্দ কুমার মডেল ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক হারুন রশিদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক ইমাম হোসেন হাওলাদারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৃথক পৃথক স্টলে নানা রকম পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কতিপয় পিঠা একেবারেই নতুন আবার কিছু অতিপরিচিত। প্রতিটা পিঠার ওপরে লেখা আছে পরিচিতি নাম। এসব পিঠার নামও বেশ বাহারি। শিক্ষার্থীরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন স্টল। জানছেন নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে। এ সময় পুরো স্কুল মাঠ রূপ নিয়েছে অন্যরমক মিলনমেলায়।

বাহারি পিঠা নিয়ে স্টল সাজিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। পিঠাপ্রেমীর ভিড়ে জমে ওঠে উৎসব। বিভিন্ন রকম পিঠার সমাহার নিয়ে বসে ৯টি স্টল। স্টলগুলোয় ছিল ভাপা, পুলি, গোলাপ, পাটিসাপটা, ঝিনুক পিঠা, চালতা ফুল পিঠা, শামুক পিঠা, তকতি, নকশি পিঠা, ফুল পিঠা, ক্ষির, মুঠা পিঠা,  চিতই,দুধ চিতই, চ্যাপা পিঠা, মালা পিঠা, মাছের সমুচা, দুধপুলি, পয়সা পিঠাসহ ১০৫ রকমের পিঠা।

পিঠা উৎসবে আনন্দে মেতে থাকা শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেক রকম পিঠা খেতে পারছি। আমাদের অনেক ভালো লাগছে। এখানে অনেক রকম পিঠার সঙ্গে পরিচিত হলাম। নতুন নতুন পিঠা খেলাম। অনেক ভালো লাগছে।

নুসরাত জাহান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির একটা ঐতিহ্য। এটাকে নতুন করে তুলে ধরার জন্য বান্ধবী ও বন্ধুরা মিলে পিঠা তৈরি করেছি। তারপর এগুলো স্টলে এনেছি। এমন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের সঙ্গে সহপাঠিরা, শিক্ষকরাও ছিলেন।

এমন ব্যতিক্রম আয়োজনে খুশি অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তাদের চাওয়া প্রতি বছরই যেন এমন আয়োজন করা হয়। এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠা সম্পর্কে জানতে পারবে। শিক্ষার্থীরা অনেক আনন্দ করছে। দেখে অনেক ভালো লাগছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo