পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা,গ্রেফতার ২

প্রতীকী ছবি

আল মাসুদ,পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে দুই যুবক কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রী (১৪)।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবার দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যেমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গভির রাতে ওই দুই যুবককে আসামী করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের বাবা। মামলার পরেই বোদা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার সকালে বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের ঘোড়ামারা কলোনী পাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের ঘোড়ামারা কলোনী পাড়া এলাকার আব্দুল সিদ্দিকের ছেলে ফিরোজ আলী (২৭) ও একই এলাকার রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে মারুফ হোসেন (২১)। ভিকটিম মাদরাসা ছাত্রীর বাড়ি একই উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নে।

মামলার এজহারে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিকটিম মাদরাসা ছাত্রী মাদরাসায় প্রাইভেট পড়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ এলাকা থেকে সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরছিল। একসময় বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের সাকাতী পাড়া এলাকায় পৌছালে ফিরোজ ও মারুফ নামে ওই দুই যুবক তাকে স্থানীয় এক ব্যাক্তির চা বাগানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তারা ওই মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা করলে তার চিৎকারে ফিরোজ ও মারুফ পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম মাদরাসা ছাত্রী বাড়িতে ফিরে মাকে বিষয়টি জানায়। পরে ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দিনগত গভির রাতে ওই দুই যুবককে আসামী করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) সুজয় কুমার রায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে বোদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ২২ ধারায় ওই মাদরাসা ছাত্রীর জবানবন্দী নেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবক তাদের দোষ শিকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।