
ছবিঃ সিএনআই
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জমির খাজনা (কর) আদায়ে হালখাতার আয়োজন করেছে উপজেলা ভূমি অফিস। বৈশাখের দ্বিতীয় দিন ভূমি অফিস কার্যালয়ে এ হালখাতার আয়োজন করা হয়। ইতোপূর্বে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের বকেয়া টাকা তুলতে ব্যাক্তিগত হালখাতার আয়োজন দেখা গেলেও এবার প্রথম জমির খাজনা আদায়ে হালখাতার ব্যবস্থা করা হয়। এক বছরের বকেয়া প্রায় ১৩ লাখ টাকার মধ্যে একদিনের হালখাতায় বকেয়া উত্তোলন হয়েছে সোয়া ৪ লাখ টাকা।
এ উপলক্ষে লাল নীল কাগজ, ব্যানার ফেস্টুনে সাজানো হয় ভূমি অফিস চত্তর। ঘোড়ার গাড়ী গরুর গাড়ীসহ আয়োজন করা হয় গ্রামীণ নানা অনুসঙ্গ। হাল খাতায় অংশগ্রহণকারীদের খাওয়ানো হয়েছে মোয়া মুড়ি ও মিষ্টি। এ ধরণের আয়োজনে জমির মালিকরা অনেক খুশি। সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ধনিগাগলা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, স্বাধীনতার পর আমি আমার জীবদ্দশায় কখনো দেখি নাই জমির খাজনা দিতে আসলে জনগণকে মিষ্টি খাওয়ায়। জনগণকে দালালের হয়রানি ছাড়া জমির খাজনা পরিশোধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের এই হালখাতা প্রতিবছর হলে জমির খাজনা বকেয়া পড়বে না।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারিসুল বারি রনি জানান, এবছরই প্রথম এমন আয়োজন দেখেছেন তিনি। এমন আয়োজন হলে মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে হালখাতার মাধ্যমে ভূমি কর পরিশোধ করতে পারবেন। এতে করে দেশের রাজস্ব খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তাই এমন আয়োজন দেশের প্রতিটি উপজেলায় হওয়া প্রয়োজন।
ভূমি অফিস সূত্র জানায়, গত এক বছরে নাগেশ্বরী পৌরসভায় প্রায় ১৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিলো। পহেলা বৈশাখের পরদিন হালখাতায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেন অফিস। উত্তোলন হয়েছে সোয়া ৪ লাখ টাকা। তবে লক্ষমাত্রা অর্জিত না হলেও সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সম্রাট আকবরের সময় থেকে ভূমি অফিসে বাঙালি ঐহিহ্য হালখাতা অনুষ্ঠান চালু ছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা এদেশে আসার পর ভূমি অফিসের হাললহাতা বন্ধ হয়ে যায়। নববর্ষ উপলক্ষে বাঙালির ঐহিত্য ফিরিয়ে আনতে আমরা বাংলাদেশে প্রথম ভূমি অফিসে এই হালখাতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। দিনব্যাপী এই হালখাতা অনুষ্ঠানে আমাদের বকেয়া ভূমি করের প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা আদায়ের লক্ষমাত্রা থাকলেও সন্তোষজনক কর আদায় হয়েছে। প্রতি বছর এই ধারা অব্যাহত থাকলে বকেয়া কর শুন্যের কোটায় নামানো সম্ভব বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ বলেন, আমরা দেখতাম বড় বড় ব্যবসায়ীরা হালখাতা করে তাদের বকেয়া আদায় করতো। বাংলাদেশে এবারেই প্রথম উপজেলা ভূমি অফিসে হালখাতা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছে। এই হালখাতা অনুষ্ঠানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: জীবন বেশিরভাগ সময় কেটেছে পিঠা বিক্রি করে। সারাজীবনে...
নওগাঁ প্রতিনিধি: পহেলা বৈশাখ মানেই বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব। বৈশাখ বলতে আমরা গ্...
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহরের পৌর শহরের অদূরের গ্রামে বোঁথড়। এ গ্রামে প্...
নওগাঁ প্রতিনিধি: আসছে বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বৈশাখ মানেই বিভিন্ন...
পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির এক...
মন্তব্য (০)