• অপরাধ ও দুর্নীতি
  • লিড নিউজ

থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে স্পিকার বাজিয়ে ভাগ্নে-ভাগ্নির গলা কেটে হত্যা করে বাদল

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • লিড নিউজ
  • ২৭ আগস্ট, ২০২০ ১২:৫৬:০৫

ছবিঃ সিএনআই

 

হাসান জাবেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুল পড়ুয়া ভাই-বোনকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধীতার জেরে বাদলকে থাপ্পড় দেন ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিন।

সে থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতেই ভাগ্নে মেহেদী হাসান কামরুল (১০) ও ভাগ্নি শিফা আক্তারকে (১৪) ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেয় মামা বাদল মিয়া।

বুধবার রাতে ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে মামা বাদল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে ঘাতক বাদল মিয়া।

জেলা পুলিশ জানায়, বাহরাইন থাকাকালে দোকান করার জন্য ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেন শ্যালক বাদল মিয়া। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেন।

বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেয়ায় কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তার। সপ্তাহখানেক আগে বাদলকে এজন্য থাপ্পড়ও দেন কামাল উদ্দিন। সেই রাগে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করেন বাদল মিয়া।

ঘটনার দিন সোমবার তার রুমে গেলে দরজা বন্ধ করে উচ্চশব্দে স্পিকার বাজিয়ে ভাগ্নে কামরুলের হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বাদল। পরে, ভাগ্নের মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেয়।

এ সময় ভাগ্নি শিফা আক্তার ঝাড়ু দিতে গিয়ে তা দেখে ফেললে তাকেও গলা কেটে হত্যা করে মামা বাদল মিয়া। পরে তাদের মরদেহ কৌশলে নিজ ঘরের খাটের নিচে রেখে দেয়।

বাদল মিয়া কুমিল্লার হোমনা উপজেলার খোদে দাউদপুর গ্রামের মৃত আবদুর রবের ছেলে। করোনা মহামারির আগে বাহরাইন থেকে দেশে ফেরত আসেন বাদল। দেশে আসার পর এলাকাগত বিরোধের কারণে বাদলের বিরুদ্ধে মামলা হলে পালিয়ে বাঞ্ছারামপুরের সলিমাবাদ গ্রামে ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেন বাদল। এরপর, ৩০ জুন থেকে ভগ্নিপতির বসত ঘরের এক পাশে একটি কক্ষে বসবাস করতেন বাদল।

এদিকে, এই ঘটনায় নিহতদের বাবা কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র কামরুল হাসান (১০) ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শিফা আক্তারের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo