• অর্থনীতি

গলার কাঁটা চার পণ্য ভোক্তার জন্য

  • অর্থনীতি
  • ২৪ আগস্ট, ২০২০ ১১:১৪:০৭

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ দেশে উৎপাদিত হলেও এক মাস ধরে বাড়তি দামে চাল খাচ্ছে ভোক্তারা। নতুন করে বেড়েছে তেল, চিনি ও ডালের দাম। দেশে বন্যা ও বৃষ্টিতে সরবরাহ সমস্যা আর আন্তর্জাতিক বাজারে কভিড-১৯-এর প্রভাবে উৎপাদন কম। এর কারণে দাম বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। বাজারে এসব পণ্যের বাড়তি দামে ভিড় বাড়ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ন্যায্য মূল্যের পণ্যের দোকানে।

বোরো মৌসুমের ধান ওঠার পর মাস দুয়েক কিছুটা কম দামে চাল বিক্রি হলেও গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আবার বাড়তে থাকে। এক মাসে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। টিসিবির হিসাবে গত বছরের তুলনায় বর্তমান চালের দাম ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। এখন ৪৪ টাকার নিচে কোনো চালই নেই। চিকন চাল কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকা পর্যন্ত দামে।

চালের এই মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে গত সপ্তাহে বেড়েছে ডালের দাম। মসুর ডালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন ৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না বড় দানার কম দামি ডালও। ছোট দানার ডাল কিনতে হচ্ছে ১২৫ টাকা পর্যন্ত দামে। টিসিবির হিসাবে বর্তমানে ডালের দাম আগের বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি।

চাল-ডালের পর চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দামও। এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে লিটারে চার টাকা। ৮৪ টাকার নিচে নেই কোনো সয়াবিন তেল। কম্পানিগুলো বোতলজাত তেলের দাম বাড়িয়েছে লিটারে পাঁচ টাকা। ১১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে এক লিটার তেল। সয়াবিন তেলের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি।

বাড়ছে চিনির দামও। গত মাসের তুলনায় দাম বেড়েছে কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে চিনি এখন ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা। এই দাম আগের মাসের তুলনায় আড়াই শতাংশ আর আগের বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। তবে পাইকারিতে দাম আগের মতোই আছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

এদিকে বর্ষা ও বন্যা উপলক্ষে টিসিবির ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে ভিড় দেখা গেছে ডিলারের ট্রাকগুলোতে। গত ১৭ আগস্ট থেকে দেশে চলমান করোনাভাইরাস মহামারি ও বর্তমান বন্যায় পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে শুরু করে টিসিবি। ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। ট্রাক থেকে প্রতি কেজি চিনি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকায়, মসুর ডাল ৫০ টাকা, সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটার।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ক্রেতাদের পণ্য কিনতে ভিড় দেখা গেছে। দুপুর ১২টায় মধ্যবাড্ডা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ১০০-১৫০ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছে পণ্য কিনতে।

মালিবাগ, প্রেস ক্লাব, মতিঝিলসহ রাজধানীর ৪০টি পয়েন্টে টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। সবখানেই ভিড় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিলাররা। দেশব্যাপী ট্রাকের সংখ্যা ২৭৭টি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo