• অর্থনীতি

করোনাভাইরাসে পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব ফেলবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

  • অর্থনীতি
  • ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৭:৩৪:৩৩

সিএনআই ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে যদি চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধও হয়ে যায়, তাহলে পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চীন থেকে খুব কম পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। তাই করোনাভাইরাসের কারণে যদি চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধও হয়ে যায়, তাহলে পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশের বাইরে থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে তার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ চীন থেকে আসছে। চীনের পেঁয়াজ আমাদের দেশের মানুষ পছন্দ করে না। চীন থেকে আমদানি যদি বন্ধ হয়ে গেলেও পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ঢুকছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ আমদানি হচ্ছে মিয়ানমার থেকে। পাকিস্তান থেকে আসছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এছাড়া তুরস্ক থেকেও আসছে, আর চীন থেকে খুব কম পরিমাণ আসছে। সুতরাং চীন থেকে বন্ধ হয়ে গেলেও সমস্যা হবে না।’ টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। পেঁয়াজ আমদানির ওপর নির্ভরশীল না থেকে চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। পেঁয়াজের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পেঁয়াজ রফতানি করা সম্ভব হবে। পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এর উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিতকরণ ও পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিষয়ে সরকার চিন্তা করছে।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছর দেশের চাহিদা মেটাতে ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করা হতো। কিন্তু ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় সমস্যা হয়েছে। পরে বাংলাদেশ মায়ানমার, মিশর, তুরস্ক, পাকিস্তান, চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে চাহিদা পূরণ করছে। এখনও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।’

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo