সিএনআই ডেস্ক: অ্যান্টার্কটিকায় এর আগে এতটা গরম হয়নি আর কখনও! এমনকি গ্রীষ্মেও না। তবে দক্ষিণ মেরুর উত্তর প্রান্তের ‘এসপ্যারেঞ্জা বেসে’র তাপমাত্রা এবার ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করেছে। অ্যান্টার্কটিকার ইতিহাসে যা একটি রেকর্ড। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। ডব্লিউএমও জানিয়েছে, উষ্ণায়নের কারণে কুমেরুর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি আগের সব রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। ২০১৫ সালে অ্যান্টার্কটিকার একটি অংশের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে পৌঁছেছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিন বছরে অ্যান্টার্কটিকার ওই অংশের তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে তাপমাত্রার বৃদ্ধির ফলে অ্যান্টার্কটিকার বিশাল বিশাল পুরু বরফ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভাঙলেই দ্রুত বরফ গলতে শুরু করবে অ্যান্টার্কটিকার। ফাটল ধরতে শুরু করেছে অ্যান্টার্কটিকার বিশাল বিশাল গ্লেসিয়ারগুলোতেও। অন্যদিকে ডব্লিউএমও’র মুখপাত্র ক্লেয়ার নুলিস বলেছেন, গ্রীষ্মেও কোনও দিন অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা এতটা বাড়েনি। এমনকি তা আগের রেকর্ডকেও ভেঙে দিয়েছে। তিনি বলেন, সুমেরু নয়, পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুত হারে গরম হচ্ছে অ্যান্টার্কটিকাই (কুমেরু)। তার ফলে আগামী এক বা দুই শতকে সমুদ্রের পানির স্তর উঠে আসবে অন্তত ৩ মিটার বা ১০ ফুট। গত চার দশকে অ্যান্টার্কটিকায় গরফ গলার পরিমাণ ৬ গুণ বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন ডব্লিউএমও’র মুখপাত্র। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বলা হয়েছিল, বাতাসে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে না পারলে ২১০০ সালে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অন্তত ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। তাতে দুই মেরুর বরফ খুব দ্রুত গলতে শুরু করবে। এর ফলে উদ্বেগজনকভাবে বাড়বে সমুদ্রের পানির স্তর। যা সমুদ্র উপকূলবর্তী বহু দেশের বহু শহরকে গ্রাস করবে।
নিউজ ডেস্কঃ ঢাকাসহ দেশের ১৫টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুর...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণা...
নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, স...
লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। ...
মন্তব্য ( ০)