• রাজনীতি

নির্বাচনে জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল

  • রাজনীতি
  • ১৭ জানুয়ারী, ২০২০ ১৪:৪২:৩৫

সিএনআই ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জয়ী হওয়ার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি আমরা। আমরা যদি জনগণকে একত্রিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে জয়ী হবো। সুতরাং আমরা হেরে যাবে, এ কথা বলতে রাজি নই। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘নির্বাচনে আস্থাহীনতা, ইভিএম’র ব্যবহার: বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনে যে মিছিল হচ্ছে সেখানে অনেক বেশি মানুষ অংশ নিচ্ছে। তাদের যদি আমরা সংহত করতে পারি এবং আন্দোলনের দিকে নিয়ে যেতে পারি তাহলে নিশ্চয়ই আমরা সফল হবো। আর সেই কারণেই আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। তিনি বলেন, আমরা প্রতি মুহূর্তেই আন্দোলনের মধ্যে আছি। আমরা যখন ভোটে যাই, সেটাও আন্দোলনের অংশ। আমরা যখন এখানে আলোচনা করি সেটাও আন্দোলনের অংশ। সবকিছু নিয়ে আমরা একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ভুল-ত্রুটি আছে, থাকতেই পারে। তাও প্রতি মুহূর্তে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সফলতার জন্য। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের সংকটই সংকট নয়। সংকট সামগ্রিকভাবে সারাদেশের। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একে একে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত সুকৌশলে, সুপরিকল্পিতভাবে, সুচিন্তিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। ফখরুল বলেন, বিএনপি শুরু থেকে একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পলিটিক্যাল পার্টি। এ পার্টির যে নিজস্ব চরিত্র আছে, সে চরিত্র নিয়ে সামনের দিকে আগাচ্ছে। বিশ্ব রাজনীতির যে পরিবর্তন হয়েছে সেগুলোকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে আগানো যাবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই দানবকে পরাজিত করতে হবে। এই কথাটি আমরা সব জায়গায় বলেছি। সুখে থাকার, আরামে থাকার মানুষগুলো রাস্তায় নামে না। রাস্তায় নামে কর্মীরা। গোলটেবিল বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আগামী ৩০ তারিখের ভোট কোনো ভোট নয়। ওই তারিখে ধানের শীষ জিততে পারবে না। ওরা জিততে দেবে না। যদি ভোট হতো তাহলে নৌকারই খবর থাকতো না। সেই জন্যই সমস্ত বুদ্ধি-শুদ্ধি করেছেন তারা। তিনি আরো বলেন, ফখরুল ভাইয়ের সঙ্গে কর্মী হিসেবে কাজ করতে রাজি আছি। কিন্তু পুতুপুতু করে কোনো রাজনীতি হবে না। ২০১৮ সালের ভোট চুরি করেছে, ডাকাতি করেছে, ছেড়ে দিয়েছি। এবার কিন্তু ছাড়বো না। মান্না বলেন, ইভিএম যে একটা গজব এটা আমরা সবাই বুঝি। মানুষ যা তৈরি করে তার নিজের জন্য তৈরি করে। নির্বাচন কমিশনকে পেছন থেকে কেউ ইভিএম আমদানি করিয়েছে। ওদের নিজেদের জন্য। ২০১৮ সালের ভোটের নামে যে ডাকাতি হয়েছে আর এখন যে ভোট হচ্ছে একই কায়দায় করার সুযোগ নাই। অতএব তারা ভিন্ন একটা পথ নিয়েছে। ওই ভাবে যদি তারা ভোট করতে যেত তাহলে পুলিশকে ম্যানেজ করতে হয়, বিজিবি-আর্মি যা যা আছে সবাইকে টাকা-পয়সা দিতে হয়, রাতের বেলা বিরিয়ানি খাওয়াতে হয়, পার্টি দিতে হয়, এটা লজ্জার ব্যাপার। তাই তারা একটি মেশিন বের করেছে। এইটা দিয়ে তারা সমস্ত দায় মেশিনের ওপরে দেবে। আপনি বলতে পারবেন না ওরা কেড়ে নিয়ে গেছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo