• রাজনীতি

শাজাহান খানকে 'চাঁদাবাজ' বললেন নানক

  • রাজনীতি
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৭:৩১:২৩

সিএনআই ডেস্ক: ২১তম সম্মেলনে ঘোষিত আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নবনির্বাচিত প্রেসিডিয়ামের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভার একপর্যায়ে কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কমিটিতে সাবেক শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে রাখার বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। এতেই গোল বাধে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভায়ই বচসায় জড়ালেন দুই প্রভাবশালী নেতা। প্রেসিডিয়ামে নতুন অভিষিক্ত হওয়া সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে চাঁদাবাজ বলে মন্তব্য করেন আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলে ওঠেন, হাবিবুর রহমান চাঁদাবাজ লোক। তাকে কমিটিতে না রাখাই ভালো। এ সময় শাজাহান খানকে চ্যালেঞ্জ করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, হাবিবুর রহমান কোথায় চাঁদাবাজি করল? তিনি যদি চাঁদাবাজ হন, তা হলে শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে যারা যুক্ত সবাই চাঁদাবাজ। আপনি বড় চাঁদাবাজ। আপনি পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করছেন। শাজাহান খানও জবাব দিতে থাকেন। এর পর দুজনকেই থামিয়ে দেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, সাহারা খাতুন, কাজী জাফর উল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মান্নান খান, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, আবদুল মতিন খসরু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন। গত শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর দিন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের অধিবেশনে নির্বাচিত হয় নতুন নেতৃত্ব। সেখানে শেখ হাসিনা নবমবার সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদের ৪২টি পদের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের ১৭ সদস্য, চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আট সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে পাঁচটি এবং ১৯ সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ১৪ জনের নাম ছিল। এছাড়া ৫১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের ৪০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি দলের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। এসব নাম কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে অনুমোদন করিয়ে নেয়া হয়। প্রেসিডিয়ামে আগের কমিটির সব সদস্য বহাল রাখা হয়। তবে নতুন করে জায়গা পান আগের কমিটির দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান এবং সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। এছাড়া পদোন্নতি পেয়েছেন আগের কমিটির আট নেতা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo