• অপরাধ ও দুর্নীতি

আ.লীগ নেতার কর্মচারীর ভল্টে মিললো কোটি কোটি টাকা!

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৬:৩০:৪৫

আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হকের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি ভল্টে প্রায় দুই কোটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। রাজধানীর নারিন্দায় আবুল কালাম আজাদের বাসায় দুপুরের পর এ অভিযান চালানো হয়। এর আগে সোমবার মধ্যরাতের পর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয় র‌্যাব। অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এই দুইজনের মালিকানাধীন আরো ১৫ টি বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল কেএম শফিউল্লাহ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি রাজধানীর ইংলিশ রোড থেকে ৫ টি ভল্ট ভাড়া নেয় কে বা কারা। পরে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারি, ভল্টগুলো রুপন ও এনামুল- এই দুই ভাই ভাড়া নিয়েছে। ক্যাসিনোর লাভের টাকা এসব ভল্টে রাখা হয়েছে। শফিউল্লাহ বলেন, জুয়ার টাকা দিয়ে এরা অনেকগুলো বাড়ি কিনেছে। এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ টি বাড়ির সন্ধান পেয়েছি। এই ভবনের (৩১, বানিয়ানগর) দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ভল্ট উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকেও টাকা ও স্বর্ণ পাওয়া যায়। একই সময় অভিযান থেকে ৫ টি অস্ত্র পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা র‌্যাবকে জানিয়েছে, এসব অস্ত্র দিয়ে স্থানীয় লোকদের ভয় দেখাত। শফিউল্লাহ বলেন, আমরা শুনেছি, গত সপ্তাহে অভিযান শুরুর পর এনামুল হক থাইল্যান্ডে পালিয়েছে এবং রুপন দেশেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। তিনি জানান, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে এই দুই নেতা জড়িত। তাদের আটক করতেই অভিযান চালানো হয়েছে। সূত্র জানায়, এনামুল ও রুপনা ৬ ভাই। ১৯৮৫ সাল থেকেই এনামুল ওয়ান্ডার্স ক্লাব ও রুপন আরামবাগ ক্লাবে জুয়া খেলত। কিন্তু গত তিন-চার বছর আগে তারা হঠাৎ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি কেনা শুরু করে। যে বাড়িটি র‌্যাব ঘিরে রেখে অভিযান চালায় সে বাড়িটি গত দেড় বছর আগে হারুনুর রশীদ নামে একজনের কাছ থেকে তারা কিনেছেন। ভবনের চতুর্থ তলায় এনামুলের শ্যালক-শাশুড়ি থাকেন। র‌্যাব সূত্র জানায়, এই চতুর্থ তলার সিন্দুক থেকে ৭ কেজি স্বর্ণ পাওয়া গেছে। আরেকটি সিন্দুক থেকে এক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, ওয়ারী, সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, বংশাল, কোতোয়ারী থানা এলাকায় এই পরিবারের ৫০টির মতো বাড়ি রয়েছে। তবে এই রুপন এবং এনামুল কোন বাড়িতে থাকে সেটি তারা জানেন না।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo