• শিশু সংবাদ

দেশে শিশুদের অধিকার নিয়ে ৬ সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশ

  • শিশু সংবাদ
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১২:৫৫:৩৬

বাংলাদেশের সামগ্রিক শিশু অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছে এমন ছয় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার জোট ‘জয়েনিং ফোর্সেস বাংলাদেশ : চাইল্ড রাইটস নাউ।’ মঙ্গলবার গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘রুট টু রাইটস : চিলড্রেন আর স্পিকিং আপ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এডুকো বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস ইন্টারন্যাশনাল, টেরেডেস হোমস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন যৌথভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। স্কুলগামী শিশুদের জন্য মিড-ডে মিল, নতুন পাঠ্যবই, উপবৃত্তি চালুর মাধ্যমে তা প্রকাশ পেয়েছে।” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু, সৈয়দা রুবিনা আকতার, এবং ডক্টর সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক। প্রতিবেদনটির গবেষক দলের প্রধান হিসেবে মূল প্রতিবেদনের সারাংশ উপস্থাপন করেন গবেষক ও সাংবাদিক আফসান চৌধুরী। শিশুদের অংশগ্রহণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবার সদিচ্ছা থাকলেও তা কার্যকর হতে কমই দেখা যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাল্যবিয়ে রোধে জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে শিশুদের পক্ষ থেকে চাইল্ড পার্লামেন্টের স্পিকার মারিয়াম আক্তার জিম জানান, শিশুরা চায় যৌন নির্যাতন ও শিশুশ্রমমুক্ত পৃথিবীতে বেড়ে উঠবার অধিকার। আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ের্স। তিনি বলেন, “এই প্রতিবেদনটি জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গ্রহণের পর থেকে শিশু অধিকার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে, বিশেষত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সনাক্ত এবং প্রয়োজনে যৌথ অ্যাডভোকেসি পরিচালনার ওপর আলোকপাত করবে।” এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জয়েনিং ফোর্সেসের সংস্থাগুলোর প্রধানেরা। বাংলাদেশে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতাগুলো উল্লেখ করে এই প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। জাতীয় বাজেটে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি, বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, শিশুদের মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো এবং পৃথক শিশু অধিকার অধিদফতর প্রতিষ্ঠা, শিশু শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া ও তাদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo