• অর্থনীতি

মিয়ানমারে বিনিয়োগের জন্য সুচির আহ্বান

  • অর্থনীতি
  • ১২ নভেম্বর, ২০১৮ ২১:০৯:০০

মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সুচি সোমবার বিনিয়োগকারীদের তার দেশে আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তার দেশের সম্পদ লুটপাটের জন্য অবারিত নয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। সুচি গত কয়েক মাসে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন এবং তার দেশের অর্থনীতি বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জানান দিয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংক আগাম জানান দিয়ে বলেছে, আগামী বছর মিয়ানমারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে দাঁড়াবে। বিনিয়োগের বিষয়ে মিয়ানমারের তালগোল পাকানো আইন, দূর্বল মুদ্রা, উচ্চতর মুদ্রাস্ফিতি, ব্যাপক দুর্নীতি এবং নানা প্রকার দ্বন্দ্ব দেশটির অর্থনীতিকে দূর্বল করে দিয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল বিগত কয়েক দশকের জান্তা শাসনের কারণে দূর্বল হয়ে পড়া অর্থনীতি ২০১৬ সালে বেসামরিক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব হবে। সেই সময়টাতে মানবাধিকারের দিক থেকে সুচির ইমেইজ ছিল সমুন্নত। কিন্তু রোহিঙ্গা সমস্যাকে কেন্দ্র করে বলতে গেলে একেবারে ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বৈঠককে সামনে রেখে একটি ব্যবসায়ী ফোরামে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সুচি রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করেননি। অথচ এই সংকটের কারণে কয়েক লাখ মুসলিম সংখ্যালঘু বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ভবিষ্যৎকে কোণঠাসা করে দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের জন্য কিছু পশ্চিমা দেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ দেশটির অর্থনীতিকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু সুচি এখনও বলছেন ব্যবসায়ের জন্য মিয়ানমারের দরোজা উন্মুক্ত। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় মিয়ানমারই হলো গুরুত্বপূর্ণ বাজার। আমাদের ভূমি আছে, কর্মক্ষম তরুণ আছে, অনাবিস্কৃত সম্পদ আছে।’ তিনি বিনিয়োগকারীদের দেশটির অবারিত সম্পদ- মূল্যবান পাথর, বিশাল অনাবাদী ভূমি এবং পানিপথ একেবারে সহজলভ্য হবে না বলে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা লগ্নী করব সামাজিক সামঞ্জস্যের স্বার্থে এবং সেটা শুধু অর্থনৈতিক লাভালাভের জন্য হবে না।’ তবে মিয়ানমারে চীনের বড় বড় প্রকল্পগুলো জমি আত্মসাতের অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, চীনের বিনিয়োগ মিয়ানমার সরকারকে ঋণভারে ন্যূব্জ করে তুলবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo