• রাজনীতি

দিনাজপুরে দলীয় কার্যালয় পৃথকভাবে পরিদর্শন করলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী এবং হুইপ

  • রাজনীতি
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৪৭:৪৫

ছবিঃ সিএনআই

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় দিনাজপুরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্হ দলীয় কার্যালয় পৃথকভাব৷ পরিদর্শন করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। 

আজ শনিবার সকালে প্রথমে দলের জেলা কার্যালয় এবং পৌরসহ কোতয়ালী কমিটির আলাদা কার্যালয় পরিদর্শনে আসেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রীর স্হান ত্যাগের কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূর-এ-আলম ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্যরা।

হামলায় ক্ষতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কােটা বৈষম্য বিরােধী ছাত্র আন্দোলনে যারা নের্তৃত্ব দিয়েছে তারাই বলছে হত্যাকান্ড সহিংসতা অগ্নি সংযােগ লুটতারাজের সঙ্গে তাদের কােন সম্পর্ক নেই। এটা খুব ক্লিয়ার, এটার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল বিএনপি জামায়াত এবং স্বাধীনতা বিরােধী ইউনুস গ্যাংরা। জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাবে এই গ্যারা জড়িত। তাদের লক্ষই হচ্ছে বাংলাদেশ যে আত্মমর্যাদা নিয়ে পথিবীতে মাতা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে সেটাক নামিয়ে নেওয়া। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যানরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলা বিহীন ঝুড়ি বলার চেষ্টা করেছিল।  জামায়াত বিএনপি ইউনুস গ্যাংরা তারই ধারাবাহিকতায় দেশ ধ্বংসের কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে তলা বিহীন ঝুড়ি বানানাের জন্য কাজ গুলােই করছে বিএনপি জামায়াত ইউনুস গ্যাংরা।

মন্ত্রী আরো বলেন ২০০৯ সাল ২৫ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় বিডিআর বিদ্রােহ থেকে শুরু করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু হত্যা কান্ডের বিচার, মানবতা বিরােধী যে অপরাধ করেছে যুদ্ধাপরাধিরা তাদের বিচার কার্য পরিচালনার সময় তারা বাংলাদেশকে জ্বালিয়েছে। বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা বাংলাদেশকে জ্বালিয়েছে। ২০১৪ সালে যখন মিলেনিয়াম গােল এবং ১৫ সালে দারিদ্রতাকে জয় করেছে, তখন তারা বাংলাদেশকে জ্বালিয়েছে দিয়েছে। তারা সর্বশেষ ২০১৫ সালে যখন ব্যর্থ হয়েছে তারপর তারা ছাত্রদেরকে ব্যবহার শুরু করেছে। আপনারা জানেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে স্বাধীনতা বিরােধীরা স্কুল ড্রেস বানিয়ে নিজেরা গায়ে দিয়ে তারা ছাত্র সেজে বাংলাদেশকে জ্বালানোর চেষ্টা করেছে। ১৮সালে কােটা বিরােধী আন্দোরনে তারা একই ভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।

তাদের কাজই ধ্বংসযজ্ঞ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এটা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে নয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, আমার বিরুদ্ধে নয়, এটা হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তাদর সন্ত্রাসী নৈরাজ্যকর কর্মকান্ড। এই কর্মকান্ডের সঙ্গে জামায়াত বিএনপি ইউসুফ গ্যাংরা সরাসরি জড়িত। 

এদিকে মন্ত্রীর পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্হ কার্যালয়ে এসে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকে উন্নয়নের রােল মডেল। এই উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্য বিএনপি, জামাত, শিবির ও যারা বিভিন্ন জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে জড়িত তারাই গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।  সন্ত্রাসীরা নাগরিক জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য মেট্রােরেলের স্টেশনগুলােতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ,পৌর কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট শামীম আলম সরকার বাবু, উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মমিনুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo