• সমগ্র বাংলা

গভীর রাতে আগুনে পুড়লো ৯ পরিবারের ১৭ ঘর

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৯ জুন, ২০২৪ ১৯:০৯:৫১

ছবিঃ সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে মোল্লা পাড়ায় গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে ৯টি পরিবারের ১৭টি ঘর, আসবাবপত্র ও ব্যবসার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রাম ২ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাদের সবধরনের সহায়তা করতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর বই, খাতা-কলম, জ্যামিতি বক্স, পোষাক, জুতাসহ প্রয়োজনীয় সব সহায়তা করা হয়েছে যেন সে নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের টিন ও অর্থনৈতিক সহায়তা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এবং ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের কাজ চলছে। কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে (রাত প্রায় ১১টা) শহরের প্রাণকেন্দ্রে মোল্লা পাড়া এলাকায় শাহাজাহান মিয়ার ঘরে আগুনের সুত্রপাত হয়।

পরে তা মুহুর্তেই পাশে লাগোয়া সোহেল মিয়া, মোছা: ফাতেমা বেগম, বদিউল্লাহ, কামাল মিয়া, বিপ্লব মিয়া, কহিনুর বেগম, রাবেয়া বেগম ও নুরজাহানের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে গেছে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কসমেটিকসসহ ব্যবসার মালামাল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সুমিত চক্রবর্তী বলেন, আমি ব্যবসার কাজ শেষ করে একটু বাইরে গিয়েছিলাম।

পরে এসে দেখি সেচ পাম্পের মোটরটি চলছে না। তাই আমি মোটরের সুইস বন্ধ করে দেই। একটু পর সেচ পাম্পের ওখানে ধোঁয়া বের হতে দেখি। পরে কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সব রুমে। পরে আমার তিনটি রুমে থাকা বিভিন্ন মালামাল, নগদ টাকা, ফ্রিজ ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমার ৬টি কোম্পানির সাথে ডিলারশিপের ব্যবসা ছিল। সব মালামাল পুড়ে শেষ। শুধু নিজের জীবন নিয়ে আমরা বের হয়ে এসেছি। এখন আমরা পথে বসে গেলাম। তিনি দাবী করেন এ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির পরিমান প্রায় এক কোটি টাকা।

কামাল মিয়া নামের একজন বলেন, আমার তিনটি রুমে থাকা দুইটি এলএডি টেলিভিশন, ২টি বক্সখাট, ফ্রিজ, ৭টি ফ্যানসহ রুমে থাকা সব কিছু পুড়ে শেষ। শুধু পরনে থাকা পোশাক ছাড়া কিছুই উদ্ধার করতে পারি নি। কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান।

প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আমরা খবর পাওয়া মাত্র গিয়ে দুই ঘন্টার চেষ্টায় রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ৯ জন মালিকের ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo