• জাতীয়

ফরিদপুরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে বন্দি তারেকুলের বাবা-মায়ের করুণ আকুতি  

  • জাতীয়
  • ১৩ মার্চ, ২০২৪ ২১:২৯:৫২

ছবিঃ সিএনআই

 ফরিদপুর প্রতিনিধি: ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে বন্দি তারেকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে চলছে আহাজারি। সন্তানকে ফিরে পেতে কান্নাকাটি করছেন আল্লাহর কাছে।

সরেজমিনে বুধবার দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নের ছকড়িকান্দি গ্রামের বাড়িতে  গেলে সাংবাদিকদের নিকট এসময় তারা সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য সকলের সহায়তা কামনা করেন। একইসাথে সরকার যাতে ওই জাহাজের সকলকেই জীবিত উদ্ধার করতে পারে সেই আর্জি জানান। 

 তার মা হাসিনা বেগম জানায়, সাত বছর বয়স থেকে কখনো নামাজ-রোজা কামাই করেনি তারেক। এমন একটি সোনার ছেলের এমন দুর্দশার খবরে বারবার হুহু করে কেঁদে উঠছেন তার মা। ছেলের ছবি দেখে কান্না করছেন আর তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে বার্তা পৌছে দেয়ার অনুরোধ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, তারেকুল খু্বই নম্র এবং ভদ্র একটি ছেলে ছিলো। ছুটি শেষে গত ডিসেম্বরে বাড়ি থেকে চাকরিতে যায়। ৪ মার্চ দুবাই থেকে কয়লা নিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে অপহরনের স্বীকার হয়। 

অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী মো. দেলোয়ার হোসেনের দুই ছেলে একমেয়ের মধ্যে সবার ছোট মো. তারেকুল ইসলাম। 

স্থানীয় প্রাইমারি স্কুল থেকে পাশ করে চলে যান ঢাকায়। সেখানে মিরপুরের ড. মো. শহীদুল্লাহ্ কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। 

২০১২ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। ২০১৪ সালে নটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরিতে যোগ দেন। 

সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন করে যোগ দিয়েছিলেন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া গোল্ডেন হক নামে বাংলাদেশী জাহাজ ‍ পরিচিত এমভি আবদুল্লাহর থার্ড অফিসার হিসেবে। 

 ২৩ নাবিকের মধ্যে ফরিদপুরের সন্তান তারেকুলও এখন পণবন্দি হিসেবে জিম্মি। 

জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার জানান, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদের মধ্যে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রাযপুর এলাকার একযুবক আছে। বিষয়টা আমরা জানার পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঐ পরিবারের সাথে যোগাযোগ করছি। এছাড়া অপহৃত সকল ব্যক্তিকে মুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রানলয় তৎপর রয়েছে। দ্রততম সময়ের উদ্ধারের আশার কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য,  তারেকুলের গ্রামের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয়-স্বজন সহ প্রতিবেশীরা। তাদের একটিই আকুতি, যেকোন মূল্যে তারা তাদের প্রিয় তারেকুলকে ফেরত চান।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo