• অপরাধ ও দুর্নীতি

চাটমোহরে ইটভাটায় প্রকাশ্যে কাঠ পোড়ানো ও ফসলি জমিতে পুকুর খনন চলছে

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ২১:০৩:১২

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধিঃ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পাবনার চাটমোহরের ইটভাটাগুলোতে প্রকাশ্যে কাঠ পোড়ানো আর ফসলি জমিতে পুকুর খননের যেন উৎসব চলছে। ফসলি জমির মাটি খাচ্ছে অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাটা। যে ভাটাগুলোর কোন প্রকার অনুমোদন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এতে করে পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। তিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেনা পুকুর খননকারী ও ভাটা মালিকরা। 

চাটমোহর উপজেলায় স্থাপিত নতুন-পুরাতন দু’একটি ছাড়া কোন ইটভাটার লাইসেন্স নেই, নেই পরিবেশ অধিদপ্তর ও কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র। ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর ফলে উপজেলার বৃক্ষরাজি লোপাট হচ্ছে। এদিকে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একটি চক্র এস্কভেটর (ভেকুমেশিন) দিয়ে ফসলি জমি ও মজা নালায় পুকুর কেটে সেই মাটি দিচ্ছে ইটভাটায়। ইটভাটার ইট ও মাটি পরিবহনের ফলে বিনষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা বা গ্রামীণ সড়ক। ইটভাটা তৈরি করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআই’র সনদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, কৃষি বিভাগের প্রত্যায়নপত্র ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স দরকার। এছাড়া দরকার প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র। এসবের কোন বালাই নেই চাটমোহরের অবৈধ ইটভাটগুলোতে।

উপজেলার সকল ইউনিয়নেই চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন। অথচ এদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা সংশ্লিষ্ট বিভাগ। প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের ছত্রচ্ছায়ায় চলছে এসকল অবৈধ কর্মকান্ড। ফলে কেউ কিছু করতে সাহস দেখায় না। স্থানীয় সাংবাদিকরা বারবার এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করলেও, কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেদুয়ানুল হালিম স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইটভাটা ও মাটিকাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান চলবে। এলাকাবাসী ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো, ফসলি জমিতে পুকুর খনন ও পরিবেশ দূষনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo