• অপরাধ ও দুর্নীতি

মানিকগঞ্জে সাবেক স্ত্রীকে অ্যাসিড ছুড়ে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৭:৫২:২৯

ছবিঃ সিএনআই

মা‌নিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের সাটু‌রিয়ায় সাবেক স্ত্রীকে অ্যাসিড ছুড়ে হত্যার দায়ে নাঈম মল্লিক (৩১) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন মা‌নিকগ‌ঞ্জের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপু‌রে ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার আসামির উপস্থিতে এই রায় প্রদান করেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নাঈম মল্লিক (৩২) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা গ্রামের মৃত নিজাম মল্লিকের ছেলে। অপরদিকে নিহত সাথী আক্তার (২৫) সাটুরিয়ার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ফেরাজীপাড়ার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। তিনি 

জানা যায়, ২০২০ সালে পারিবারিক ভাবে নাঈম মল্লিকের সঙ্গে একই জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ফেরাজীপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে সাথী আক্তারের (২৫) বিয়ে হয়। সাথী ঢাকার ধামরাইয়ের একটি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিক ছিল।

তাদের সংসার জিবনের কিছু দিন পর থেকেই পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সময় অকারণে তাদের মাঝে ঝগড়া ঝাটি লাগত। নাঈম মল্লিক মারপিটসহ শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত তার স্ত্রীর ওপর। সে কারণে সাথী আক্তার গত ২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর স্বামীকে তালাক দেন। এর জেরে নাঈম মল্লিক গত ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে সাথী আক্তারের বসতবাড়িতে গিয়ে সুকৌশলে শয়ন কক্ষের ভাঙা জানালার ফাঁক দিয়ে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। এ ঘটনায় সাথী আক্তারের মুখসহ মাথা ও হাত ঝলসে যায়। একই বিছানায় থাকা সাথীর মা জালেখা বেগম ও তার ছোট বোন ইতি আক্তার এসিডে ঝলসে যায়।

এ সময় তারা চিৎকার দিলে ঘনাস্থল থেকে নাঈম পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সাথী আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মারা যায়।

এ দিকে অ্যাসিড নিক্ষেপের পরদিন সাথীর মামা লাল মিয়া বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানা নাঈমকে আসামি করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। পরে র‌্যাব ৪ এর একটি দল আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাটুরিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল নাঈম মল্লিককে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ২০২২ সালে ১৪ জুলাই মামলাটি আমলে নেন ও ২৭ জুলাই ২০২২ সালে আসমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মথুর নাথ সরকার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo