রংপুর ব্যুরো: রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়াশা সাথে কনকনে ঠান্ডা বাতাস।তীব্র শীতে কাঁপছে রংপুর।জেলায় তাপমাত্রা ৯দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার(২৭জানুয়ারি)সকালে রংপুর জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে।গত কাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।শনিবার তাপমাত্রা বেড়ে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।এছাড়া রংপুরসহ জেলাগুলোতে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এ দিকে তীব্র শীতের কারণে কাহিল অবস্থা শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষেরা।গ্রামঞ্চলের মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোসহ,অন্যান্য উপজেলার জেনারেল হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।এতে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে নার্স ও হাসপাতালের চিকিৎসকস কর্তৃপক্ষের।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.মো:ওয়াজেদ আলী জানিয়েছেন,তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তের পরিমাণ হাসপাতালগুলোতে অনেক বেড়ে গেছে।বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।এ জন্য শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। রংপুর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন,শনিবার তাপামাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।যা জেলায় মৌসুমের সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা।মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলার উপর দিয়ে।তবে ঘনকুয়াশাসহ ঠান্ডা বাতাস বইছে এর ফলে ঠান্ডার পরিমান বেশি
অনুভতি হচ্ছে।সাধারন মানুষ এই সময় গরম কাপড় ব্যবহার করবেন এই পরামর্শ দেন আবহা্ওয়াবিদ।
এদিকে রংপুরের বিভিন্ন দিক থেকে আসা জেলায় কর্মজীবি মানুষেরা বলেন,অতিরিক্ত শীতে অস্থির হয়ে পড়ছেন তারা।অতিরিক্ত ঠান্ডায় কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। আবহাওয়াবিদ বলেন জলবায়ুর পরিবর্তনে এ শীতের দাপট বেড়ে গেছে।এ জানুয়ারী মাস শীতলতম বছর সবচেয়ে বেশি শীত হয়ে থাকে।জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে নজর দিতে হবে।জলবায়ু রক্ষার বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে যাতে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
এদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।শনিবার তাপমাত্রা বেড়ে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রীতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানান,গতশুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রামের রাজারহাটে এ বছরের সর্বনিম্ন
তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা হলে তীব্র,৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি
এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বলা হয়েছে রংপুরে সকালে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি
সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,রংপুর জেলায় ৯দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানান
আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান।আবহাওয়া অফিস বলছেন আরও তাপমাত্রা কমতে
পারে।অতিরিক্ত ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশার ফলে বিপাকে পড়ছে শ্রমজীবি খেটে খাওয়া মানুষ।
আবহাওয়া অফিস বলছেন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।তবে ৭ডিগ্রী সেলসিয়াসে তাপমাত্রা রংপুরে
নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদ।অতিরিক্ত ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশার ফলে বিপাকে
পড়ছে শ্রমজীবি খেটে খাওয়া মানুষ।অন্যদিকে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে রংপুর মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে শীত জনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
রংপুর বিভাগের জেলার তাপমাত্রা-রংপুর বিভাগের ৮ জেলার তাপমাত্রা-রংপুরে-৯দশমিক ৫
ডিগ্রী,পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রী,কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮দশমিক ৫ডিগ্রী,দিনাজপুরে
৮ দশমিক ৪ডিগ্রী,নীলফামারীর ডিমলায় ৯ দশমিক ২ডিগ্রী,গাইবান্ধায়-৯দশমিক ১ ডিগ্রী ও
লালমনিরহাটে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করেছেন রংপুর আবহাওয়া
অফিস।
মন্তব্য ( ০)