কুষ্টিয়ায় ৪ টি সংসদীয় আসনে ১৭ জনের মনোনয়ন বাতিল, বৈধ ২৯

ছবিঃ সিএনআই

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র যাছাই বাছাইয়ের শেষ দিনে কুষ্টিয়ায় মোট ৪ টি সংসদীয় আসনে সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ সহ ১৭ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা। কুষ্টিয়া সদর আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কুষ্টিয়ার মিরপুর ভেড়ামারা আসনে জাসদ সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর প্রার্থীতা গৃহিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় জেলা রিটানিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক

এহেতেশাম রেজা নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন পত্র যাছাই বাছাই শুরু করেন। প্রত্যেকটি আসনের জন্য আধাঘন্টা সময় নিয়ে যাছাই বাছাই চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। ১ শতাংশ সমর্থকের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আল মামুন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা পটলের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ঋণখেলাপি থাকায় পিপলস পার্টির মোহাম্মদ ফজলুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

এখানে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ধসঢ়; ও প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। ১ শতাংশ সমথর্কের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুজ্জামান ও ডা. ইফতেখার মাহমুদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ঋণখেলাপি থাকায় বিএনএম’র আরিফুর রহমান ও পিপলস পার্টির এজেএম শাহিদুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় সাম্যবাদী দলের আনোয়ার হোসেন বাবলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল আরিফিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এখানে জাসদ সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু ও প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরপুর উপজেলা পরিষদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মোট ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সহ ৪ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। ১ শতাংশ সমর্থকের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুজ্জামান সেতু ও মোস্তফা কামাল মারুফের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ঋণখেলাপি থাকায় জাতীয় পার্টির নাফিজ আহমেদ খান টিটু ও তরিকত ফেডারেশনের মেহেদী হাসান রিজভীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এখানে বর্তমান এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনুসহ ছয়জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে মোট ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। ঋণখেলাপি থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুর রউফ ও জাকের পার্টির ফারুক হোসেনের। আর ১ শতাংশ সমর্থকের তথ্য সঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খাইরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সেলিম আলতাফ জর্জসহ সাতজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মোট ৪টি সংসদীয় আসনে দাখিল করা ৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৯ জনের প্রার্থীতা টিকে থাকলো।

জেলা প্রশাসক জেলা রিটানিং কর্মকর্তা এহেতেশাম রেজা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ঋন খেলাপী, আয়কর রিটান দাখিল, লাভজনক চাকরীসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকায় বেশ কয়েকজন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১ শতাংশ সমর্থকের তথ্য সঠিক না থাকায় কয়েকজন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা মঙ্গলবার সকাল থেকে কমিশনের কাছে প্রার্থীতা ফিরে পাবার আবেদন করতে পারবেন।