• সমগ্র বাংলা

নওগাঁ-৬ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো আ.লীগের শান্তির দূত হলেন আনোয়ার হোসেন হেলাল

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:১৬:২১

ছবিঃ সিএনআই

নওগাঁ: বিগত চারদলীয় সরকারের শাসনামলে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (সর্বহারা) ও জেএমবি নামক সন্ত্রাসী দলের কর্মকান্ডের উপহার হিসেবে বিশ্বব্যাপী রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলো নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা। যেটি সংসদীয় আসন-৫১ আর জেলার হিসেবে নওগাঁ-৬। তৎকালীন সময়ে দিনে-দুপুরে সর্বহারাদের জবাই নামক নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে এই দুই উপজেলার অনেক আ’লীগ সমর্থিত ব্যক্তিরা। এরপর সর্বহারাদের নিধনের নামে চরদলীয় সরকার আবিষ্কার করে জেএমবি নামক আরেকটি সন্ত্রাসী দল। 

এরাও সর্বহারাদের নিধন করা নামে লুটপাটের তান্ডব চালায়। সর্বহারা দলের বড় বড় নেতাদের ধরে পুলিশী পাহারায় প্রকাশ্যে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে নির্মম ভাবে মারপিট করে হত্যা করার পর কাউকে গাছে উল্টো করে ঝুলিয়ে আবার কাউকে ধানের জমিতে পুতে রেখেছিলো। সেই বর্বর সময়ে এই অঞ্চলের মানুষরা সন্ধ্যার পর ভয়ে বাড়ির বাহিরে বের হতে পারেনি। পরবর্তিতে ২০০৯সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার অঙ্গিকার অনুসারে এই অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করে। কলঙ্কিত রক্তাক্ত জনপদ থেকে বর্তমানে এই অঞ্চলটি শান্তির নগরীতে পরিনত হয়েছে।

সেই শান্তির নগরীতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো আ’লীগের শান্তির দূত হলেন সর্বহারাদের হাতে জবাই হওয়া তৎকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মরহুম নজরুল ইসলামের বড় ভাই আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল। তিনি নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে উন্নয়নের প্রতিক নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। গত রবিবার (২৬ নভেম্বর) চূড়ান্তভাবে হেলালকে নৌকার মাঝি হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর পরই নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। গত সোমবার তিনি দলীয় প্রার্থীতার চিঠি সংগ্রহ করেন। এসময় রাণীনগর উপজেলার আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আরিফ রাঙ্গাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে ছিলেন।

দ্বিতীয়বার আ’লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, আ’লীগের দু:সময়ে আমার পরিবারই ছিলো এই উপজেলার একমাত্র বাতিঘর। এই আ’লীগ করার জন্য আমার ছোট ভাই নজরুলকে সর্বহারা জবাই করেছে আর সব ছোট ভাইকে হারিয়েছি তৎকালীন কিছু কুচক্রী মানুষের ইন্ধনে সাবেক এমপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রোষানলের কারণে। আমি প্রথমে ২০০৩সালে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ২০০৯সালে নৌকা প্রতিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ২০১৮সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পুনরায় জনগন আমাকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন। এরপর ২০২০সালে ২৭জুলাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাবেক এমপি ইসরাফিল আলমের মৃত্যু হলে উপ-নির্বাচনে ৩৪জন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝ থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিক উপহার দিলে এই অঞ্চলের শান্তিকামী মানুষরা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে। এরপর থেকে এই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের গুরু দায়িত্ব আমার কাঁধে তুলে নিই।

তিনি আরো বলেন আমি বিজয়ী হওয়ার পরই মানবতার মা শেখ হাসিনার দেয়া অঙ্গিকারগুলো সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে এবং এই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সাধ্যমতো চেস্টা করে আসছি। দলবল নির্বিশেষে একটি মানুষেরও শরীর থেকে যেন একফোটা রক্ত বের না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করারও চেস্টা করে আসছি। দুই উপজেলার প্রতিটি মোড় থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ করেছি। প্রতিটি মোড় ও এলাকা থেকে আতি নেতা পাতি নেতাদের দৌরাত্ম বন্ধ করেছি। তাই এই অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে দলবল নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ আগামী ৭জানুয়ারী আবারো নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করার মাধ্যমে জয়ের মালা মানবতার মা শেখ হাসিনাকে উপহার দিবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদী। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo